আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

করোনা টিকা: রাশিয়ার সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে

রাশিয়ার উদ্ভাবিত কোরোনার টিকা স্পুটনিক-ভি কিনতে রাশিয়ার সাথে এ সংক্রান্ত চুক্তি চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার আই ইগনাতোভ।

আজ রোববার (৬ জুন) দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বিদায়ী সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ইগনাতভ এ তথ্য জানান।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে রুশ রাষ্ট্রদূত বলেন, আমরা টিকা সরবরাহে এবং বাংলাদেশের জনগণকে কোভিড মোকাবেলায় সহায়তায় প্রস্তুত৷ এ সংক্রান্ত চুক্তি প্রায় হয়ে গেছে এবং ভালো মতোই হবে৷ এটা খুব দ্রুতই হবে।

প্রসঙ্গত, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট টিকা রপ্তানি বন্ধ দেওয়ায় বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের লক্ষ্যে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে আলোচনা শুরু করে বাংলাদেশ সরকার। মার্চ মাস থেকে চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে ধারাবাহিকভাবে নানা পর্যায়ে যোগাযোগ হয়। এরপর এপ্রিলের শেষে এবং মে মাসের শুরুতে রাশিয়ার স্পুতনিক-ভি এবং চীনের সিনোফার্মের টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দেয় সরকার।

রাশিয়া থেকে এক কোটি টিকা কেনার প্রস্তুতি নিচ্ছে বাংলাদেশ। চলতি মাসেই রাশিয়ার সঙ্গে টিকা কেনার আলোচনা শেষ করে আগামী মাস থেকে স্পুতনিক-ভি টিকার প্রথম চালান পেতে আগ্রহী বাংলাদেশ। সবকিছু ঠিকঠাক এগোলে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে এসব টিকা দেশে আসার কথা রয়েছে।

এদিকে, দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য চীনের প্রতিষ্ঠান সিনোভ্যাকের তৈরি টিকা করোনাভ্যাকের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রোববার ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, চীনের সিনোভ্যাক লাইফ সায়েন্স কোম্পানি লিমিটেডের উৎপাদিত এই টিকা জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদনের জন্য আবেদন করে ইনসেপ্টা ভ্যাকসিন লিমিটেড।

সিনোভ্যাকের তৈরি এই টিকা বাংলাদেশ ছাড়া আরও ২২টি দেশে জরুরি ব্যবহারের জন্য অনুমোদন পেয়েছে। সিনোভ্যাকের এই টিকা দিতে পারবেন ১৮ বছরের বেশি বয়সী যে কোনো ব্যক্তি।

এ নিয়ে এখন পর্যন্ত মোট পাঁচটি টিকার অনুমোদন দিয়েছে বাংলাদেশ৷ এর আগে জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়া টিকাগুলো হচ্ছে- অক্সফোর্ড অ্যাস্ট্রাজেনেকার কোভিশিল্ড, রাশিয়ার উৎপাদিত স্পুটনিক ভি, চীনের সিনোফার্ম এবং ফাইজারের টিকা।

শুভ মাহফুজ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন