আর্কাইভ থেকে জাতীয়

ই-টিকেটিং ব্যবস্থা নেই বেশির ভাগ বাসে

আজ রোববার (১৩ নভেম্বর) থেকে মিরপুর রুটে চলাচলকারী সব পরিবহনে ই-টিকেটিং পদ্ধতি চালু হওয়ার কথা থাকলেও  বেশিরভাগ পরিবহনেই ই-টিকিটিং মেশিন বা পজ মেশিন না পাওয়ায় ভাড়া কাটা হচ্ছে আগের নিয়মেই।

এর আগে শনিবার (১২ নভেম্বর) শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ মিরপুর রুটের সকল পরিবহনেই ই-টিকিটিং চালুর ঘোষণা দিয়েছিলেন।

তিনি জানান, ২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারির মধ্যে পুরো ঢাকা শহরে ৬০টি কোম্পানি এ পদ্ধতি চালু করবে। আর ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পুরো ঢাকা জেলায়  ৬০টি কোম্পানির ৩ হাজার ৩১৪টি বাস ই-টিকিটিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা হবে। এতে অতিরিক্ত ভাড়া, গণপরিবহনে নৈরাজ্য, আর দুর্ঘটনা কমে আসবে। এছাড়া পার্শ্ববর্তী শহর থেকে ঢাকায় প্রবেশ করা ৩৭টি কোম্পানির বাসসহ মোট ৯৭ কোম্পানির ৫ হাজার ৬৫০ বাস আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে  ই-টিকিটিংয়ের আওতার আনার কথা জানান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব।

মূলত একটি পজ মেশিনের মাধ্যমে বাসে বসেই কাটা যাবে নির্দিষ্ট দূরত্বের টিকিট। এতে সারাদিন কত সংখ্যক যাত্রী মোট কত টাকা ভাড়া দিয়েছেন তার তথ্য পেয়ে যাবেন মালিকরা। আর চার্ট অনুযায়ী মেশিনে ছাপানো টিকিটের মাধ্যমে ভাড়া প্রদান করবেন যাত্রীরা। ই-টিকিটিং এর উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছে বাস মালিক, পরিবহন সংশ্লিষ্ট কর্মচারী এমনকি যাত্রীরাও। তবে সঠিক সমন্বয় ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এই পদ্ধতি কতদিন সচল থাকে সেটাই প্রশ্ন সবার।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন