পরীমণির বিরুদ্ধে র্যাব কর্মকর্তার সাক্ষ্য
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দিয়েছেন র্যাবের উপপরিদর্শক (এসআই) আবু হেনা মোস্তফা কামাল।
সোমবার (১৪ নভেম্বর) র্যাবের উপপরিদর্শকের সাক্ষ্য নিয়ে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম এই মামলার পরবর্তী শুনানির দিন আগামী ১৫ ডিসেম্বর ঠিক করেছেন।
ওই আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মাহাবুব আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এসআই আবু হেনা মামলার জব্দ তালিকা প্রস্তুতকারক।
এ মামলায় গত ৫ জানুয়ারি পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় অভিযুক্ত তিন আসামি হলেন—পরীমণি, আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেন। সাক্ষ্য গ্রহণ শুনানির সময় আশরাফুল ও কবির আদালতে হাজির ছিলেন। আর পরীমণির পক্ষে তার আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত হাজিরা দেন।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমণির বাসায় অভিযান চালায় র্যাব। পরে রাজধানীর বনানী থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে মামলার বাদী র্যাব-১-এর ডিএডি মজিবর রহমান বলেন, গত বছরের ৪ আগস্ট দায়িত্বপালনের সময় জানতে পারেন, বনানীর লেকভিউ এলাকার বাসায় বিপুল মাদক মজুত রয়েছে। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তাদের নির্দেশনা মোতাবেক বাসায় অভিযান পরিচালনা করেন। পরীমণির শয়নকক্ষের দেয়ালের কাঠের ফ্রেম থেকে ১৯ বোতল বিদেশি মদ, ৪ গ্রাম আইস ও ১ ব্লট এলএসডি উদ্ধার করেন। পরে বাসা থেকে পরীমনি ও আশরাফুলকে গ্রেফতার করেন। র্যাব-১-এর প্রধান কার্যালয়ে পরীমনি ও আশরাফুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
তাদের দেয়া তথ্যানুযায়ী নজরুল ইসলামের নাম প্রকাশ পায়। পরে নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেরার জবাবে র্যাবের ডিএডি মজিবর রহমান আদালতে বলেন, সেদিন অভিযান পরিচালনাকালে র্যাবের দুটি দল দায়িত্বে ছিল। একটি দল ইউনিফর্ম পরা ছিল। তার দলের সদস্য ছিলেন পাঁচজন।