পাঁচ সহোদরসহ ১০ আসামির যাবজ্জীবন
নওগাঁর বদলগাছীতে ২০১৩ সালে গভীর নলকূপের মালিকানা নিয়ে বিরোধের জেরে উজ্জ্বল হোসেনকে হত্যার ঘটনায় পাঁচ সহোদরসহ ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার ৯ বছর পর রায় দিলেন আদালত।
একইসঙ্গে দণ্ডিত প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তিনজনের বিরুদ্ধে অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে নওগাঁর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক ফেরদৌস ওয়াহিদ এ রায় দেন।
দণ্ডিতরা হলেন- বদলগাছী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা কামরুজ্জামান, তার ভাই ওয়াহেদ আলী, সামসুজ্জামান, রকেট ও ডাবলু, একই গ্রামের আব্দুল হামিদ ও তার ভাই এনামুল হক, মোশাররফ হোসেন, বজলুর রহমান ও এমদাদুল হক।
খালাস পাওয়া তিনজন হলেন- দণ্ডপ্রাপ্ত বজলুর রহমানের স্ত্রী করিমা বেগম, এনামুলের স্ত্রী জলি আক্তার ও দুর্গাপুর গ্রামের বাসিন্দা হবিবরের ছেলে জীবন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, বদলগাছী উপজেলার দুর্গাপুর গ্রামের একটি গভীর নলকূপের মালিকানা গ্রামবাসীর দুটি পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল। ওই বিরোধের জেরে ২০১৩ সালের ৯ মে দুর্গাপুর গ্রামের কামরুজ্জামান ও তার চার সহোদরের নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী উজ্জ্বল হোসেনসহ চারজনকে পিটিয়ে আহত করেন। ঘটনার চারদিন পর পর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উজ্জ্বল মারা যান।
এ ঘটনায় ২০১৩ সালের ১০ মে দুর্গাপুর গ্রামের গভীর নলকূপ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর বদলগাছী থানার এসআই লেলিন আলমগীর ১৩ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা, সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকসহ ১৮ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌসুলি আব্দুল বারী ও আসামিপক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মামুনুর রশিদ।