আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

বাস উপযোগী শহরের সূচকে এক ধাপ এগিয়েছে ঢাকা

চলতি বছরে বিশ্বের সবচেয়ে বসবাস উপযোগী শহরের র‌্যাংকিংয়ে এক ধাপ এগিয়েছে বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা। মহামারিতে বিপর্যস্ত শহরগুলোর বসবাসযোগ্যতা নিয়ে ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (ইআইইউ) বার্ষিক সূচকে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে। খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।

১৪০টি শহরের মধ্যে ঢাকার অবস্থান ১৩৭তম। ৩৩ দশমিক পাঁচ পয়েন্ট নিয়ে বসবাসযোগ্যতায় সবচেয়ে খারাপ চারটি শহরের একটি ঢাকা। ২০১৯ সালে চারশ বছরের পুরনো এই শহরের র‌্যাংকিং ছিল ১৩৮তম এবং ২০১৮ সালে ১৩৯তম।

বসবাস উপযোগিতায় সবার আগে অকল্যান্ড শহর। শীর্ষ দশের তালিকা থেকে ভিয়েনাকে ছেঁটে ফেলে প্রথমে চলে এসেছে নিউজিল্যান্ডের উত্তর দ্বীপের এই শহরটি।

২০২০ সালে বৈশ্বিক বসবাসযোগ্যতার সূচক প্রকাশ করতে পারেনি ইকনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিট। করোনা মহামারির কারণে ভয়াবহ লকডাউনে শহরভিত্তিক প্রদায়ক ও বিশ্লেষকেরা তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করতে পারেননি।

স্থিতিশীলতা, স্বাস্থ্যসেবা, সংস্কৃতি, পরিবেশ, শিক্ষা ও অবকাঠামো—এই পাঁচটি বিস্তৃত বৈশিষ্ট্যের ওপর ভিত্তি করে শহরের বসবাসযোগ্যতার সূচক নির্ধারণ করে ইআইইউ। পাঁচ ক্যাটাগরিতে ঢাকার স্কোর: স্থিতিশীলতায় ৫৫, স্বাস্থ্যসেবায় ১৬ দশমিক সাত, সংস্কৃতি ও পরিবেশে ৩০ দশমিক আট, শিক্ষায় ৩৩ দশমিক তিন এবং অবকাঠামোয় ২৬ দশমিক আট।

এশিয়ায় অন্যান্য শহরগুলোর ভেতরে বসবাস উপযোগিতায় সবচেয়ে নিচের ১০টি শহরের তালিকায় আছে পাকিস্তানের করাচি, সূচকে ১৩৪তম অবস্থান। সূচকে সবার শেষে রয়েছে সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কো। অর্থাৎ বিশ্বের সবচেয়ে বসবাস অযোগ্য যুদ্ধবিধ্বস্ত এই শহর।

এবারের সূচকে নিউজিল্যান্ডকে সবচেয়ে ভালো করতে দেখা গেছে। দেশটির ওয়েলিংটনও শীর্ষ দশে রয়েছে। ইআইইউ এক বিবৃতিতে বলেছে, নিউজিল্যান্ডের কঠিন লকডাউনে শহরগুলো ফের খুলে দেওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। অকল্যান্ড ও ওয়েলিংটনের বাসিন্দারা মহামারির আগের মতোই জীবন যাপন করতে পেরেছেন।

বসবাসযোগ্যতায় শীর্ষ ১০টি শহর হচ্ছে- অকল্যান্ড, ওসাকা, এডিলেড, ওয়েলিংটন, টোকিও, পার্থ, জুরিখ, জেনেভা, মেলবোর্ন ও ব্রিসবেন।

শুভ মাহফুজ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন