আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

শেরপুরেও বিশেষ বিধিনিষেধ

করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে শেরপুর পৌর এলাকায় জেলা প্রশাসন কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় জনসাধারণের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যেই ৯ দফা বিধি-নিষেধ আরোপ করেছে জেলা প্রশাসন।

আজ শুক্রবার (১১ জুন) সকাল ৬টা থেকে এই বিধিনিষেধ কার্যকর হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাতে জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনার কলি মাহবুব স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ বিশেষ বিধিনিষেধের বিষয়ে জানানো হয়।

গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে...

*শেরপুর পৌর এলাকায় কোভিড-১৯ আক্রান্ত ব্যক্তির বাসস্থান লকডাউনের আওতাভুক্ত থাকবে।

*জনসমাগম হয় এ ধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও বিবাহ অনুষ্ঠান, জন্মদিন, বনভোজন এবং পর্যটন স্পটসমূহ বন্ধ থাকবে।

*সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখা যাবে।

*ওষুধের দোকানসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ২৪ ঘন্টা খোলা রাখা যাবে।

*জরুরি পরিষেবা  ও জরুরি প্রয়োজন ব্যতীত কেউ সন্ধ্যা ৭টা হতে সকাল ৭টা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে অবস্থান করতে পারবেন না।

গণবিজ্ঞপ্তিতে এও উল্লেখ করা হয়েছে, হোটেল, রেস্তোরাঁ, খাবারের দোকানসমূহ শুধু পার্সেল, অনলাইন অর্ডার বা হোম ডেলিভারি সেবাপ্রদান করতে পারবে। এসব স্থানে বসে খাবার গ্রহণ করা যাবে না।

গণপরিবহণে চলাচলের বিষয়ে বলা হয়, বাস, মাইক্রোবাস ইত্যাদি গণপরিবহনে নির্ধারিত আসনসংখ্যার অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে যাত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে মাস্ক পরিধানসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।

অটোরিকশা, ইঞ্জিনচালিত রিকশা, অন্যান্য রিকশাসমূহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুধু ২ জন যাত্রী বহন করতে পারবে। সিএনজি ও অটোরিকশা কোনোক্রমেই সামনের সিটে যাত্রী বহন করতে পারবে না।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগসহ সরকার কর্তৃক জারিকৃত অন্যান্য নির্দেশনাসমুহ এ বিধিনিষেধের অন্তর্ভুক্ত বলে গণ্য হবে। এসব নির্দেশনা অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন