রাডারে লুকিয়ে আফ্রিকা-ইউরোপ! ১১দিন পর জীবিত উদ্ধার
নাইজেরিয়া থেকে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জে আসা একটি জাহাজের রাডার থেকে তিন ব্যক্তিকে জীবিত উদ্ধার করেছে স্প্যানিশ কোস্টগার্ড। জানা গেছে, আফ্রিকার দেশটি থেকে তারা ১১ দিনের ভয়াবহ সমুদ্রযাত্রা শেষে স্পেনের স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপপুঞ্জে পৌঁছান।
সোমবার (২৮ নভেম্বর) স্প্যানিশ কোস্টগার্ডের টুইটারে উদ্ধারকৃত তিন ব্যক্তির একটি ছবি পোস্ট করা হয়। ছবিতে দেখা যায়, তেল ও রাসায়নিক বোঝাই জাহাজটির রাডারের মাথায় তারা বসে আছেন। সমুদ্রের পানিরস্তরের ঠিক ওপরেই ঝুলছে তাদের পা। খবর দ্য গার্ডিয়ানের।
সমুদ্রগামী জাহাজ-ট্র্যাকিং ওয়েবসাইট মেরিন ট্র্যাফিকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, নাইজেরিয়ার লাগোস থেকে ১১ দিনের যাত্রা শেষে সোমবার বিকেলে ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের লাস পালমাসে পৌঁছায় আলিথিনি ২ জাহাজটি। ওই জাহাজের রাডারেই বসে ছিলেন উদ্ধারকৃত তিন ব্যক্তি।
কোস্টগার্ড টুইটারে জানিয়েছে, বন্দরে পৌঁছানোর পর জাহাজ থেকে তাদেরকে উদ্ধার করা হয়। পানি শূন্যতা ও হাইপোথার্মিয়ায় (শরীরের তাপমাত্রা কমে যাওয়া) ভোগার কারণে উদ্ধারের সঙ্গে সঙ্গেই তিনজনকে ক্যানারির একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
জাহাজের পিছনে ব্লেড সদৃশ জায়গাটিকে বলা হয় রাডার। এই রাডারে করে ইউরোপে পাড়ি দেয়ার ঘটনা এটিই প্রথম নয়। হাজারও অভিবাসী প্রতিবছর চোরাই পথে ইউরোপে যেতে জীবনের ঝুঁকি নেন।
কর্তৃপক্ষ বলছে, ২০১৯ সাল থেকে ভূমধ্যসাগরীয় রুটে চলাচল কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। এরপর থেকেই উত্তর আফ্রিকা থেকে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ক্যানারিতে আসার সংখ্যা নাটকীয়ভাবে বেড়েছে।
২০২০ সালের অক্টোবরেও একইভাবে চার ব্যক্তি লাগোস থেকে তেলের ট্যাঙ্কারের রাডারে বসে লাস পালমাসে আসেন। জানা যায়, ১০ দিনের বিপদজ্জনক যাত্রা শেষে সেখানে পৌঁছায় তারা।