আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

কোচিং করতে না চাওয়ায় শিক্ষার্থীকে মারধর

সাভারের আশুলিয়ায় কোচিং সেন্টারে কোচিং করতে না চাওয়ায় সাকিব খাঁন (১৮) শিক্ষার্থী ও তার বাবাকে পিটিয়ে জখম করেছে কোচিং সেন্টারের মালিক। এ ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় আহত দুই জনকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

গেলো বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর)  রাতে উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের জিরানী পুকুরপাড় এলাকায় শিউর সাকসেস কোচিং সেন্টারে এঘটনা ঘটে।

এলাকাবাসী জানায়, জিরানীর পুকুরপাড় এলাকায় শিউর সাকসেস নামের ওই কোচিং সেন্টারে কোচিং করে আসছিলো সাভারের বিপিএটিসি স্কুল এন্ড কলেজের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সাকিব খাঁন। পরে সম্প্রতি ওই শিক্ষার্থী ওই কোচিং সেন্টারে কোচিং করা বন্ধ করে অন্য স্থানে প্রাইভেট পড়ার সিদ্ধান্ত নেন।

এতে করে ক্ষীপ্ত হয়ে গতকাল বিকেলে ওই কোচিং সেন্টারের পরিচালক কাদের ওই শিক্ষার্থীর মা শাহিলা খাতুনকে ফোন করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। পরে ওই শিক্ষার্থী রাতে কোচিং সেন্টারে গিয়ে তার মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজের কারণ জানতে চান কোচিং সেন্টারের পরিচালক কাদেরের কাছে। এসময় কোচিং সেন্টারের পরিচালক ক্ষীপ্ত হয়ে কোচিং সেন্টারের ভিতরে ওই শিক্ষার্থীকে এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

পরে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ওই কোচিং সেন্টারে ছেলেকে বাঁচাতে গেলে ওই শিক্ষার্থীর বাবা আসাদুজ্জামান খানকেও এলোপাথারী ভাবে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। পরে স্থানীয়রা ওই কোচিং সেন্টারের ভিতরে চিৎকার ও চেঁচামেচি শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত বাবা ও ছেলেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় কোরিয়া মৈত্রী হাসপাতালে ভর্তি করে।

এদিকে ওই কোচিং সেন্টারের মালিক কাদের (৩৫), তূর্য (২৭) ও রাসেলকে (৩৮) আসামী করে আশুলিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।।

এ বিষয়ে শিউর সাকসেস কোচিং সেন্টারের পরিচালক কাদেরের মুঠোফোনে বেশ কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তার মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) সোহেল রানা বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন