বিনোদন

‘আমি তো অভিনয়ই করতে পারি না’

তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে রূপালি পর্দায় রাজত্ব করছেন বলিউডের ‘ভাইজান’ সালমান খান। একের পর এক ব্লকবাস্টার ছবির মাধ্যমে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বলিউডের সবচেয়ে প্রভাবশালী তারকাদের একজন হিসেবে। তবে পর্দার সেই আত্মবিশ্বাসী, শক্তিমান নায়কের আড়ালে লুকিয়ে আছে এক ভিন্ন মানুষ—যিনি আজকাল নিজের জীবন, একাকিত্ব আর সীমাবদ্ধতা নিয়ে অকপটে কথা বলছেন।

সাম্প্রতিক সময়ে ব্যক্তিগত উপলব্ধি ও অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে গিয়ে সালমান খান জানিয়েছেন, গত ২৫ বছরে তিনি অনেকটাই একা হয়ে পড়েছেন। এই সময়ে হারিয়েছেন বহু ঘনিষ্ঠ বন্ধু। জীবনের এই নিঃসঙ্গ অধ্যায় থেকেই হয়তো নিজের দিকে ফিরে তাকানোর সুযোগ পেয়েছেন তিনি। আর সেখানেই উঠে এসেছে এক বিস্ময়কর স্বীকারোক্তি—নিজের অভিনয় ক্ষমতা নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করেছেন এই সুপারস্টার।

সালমানের ভাষায়, “আমি তো অভিনয় করতেই পারি না। বাকি সব করে নিলেও অভিনয়টা শিখতে পারলাম না। আমি যেটা করি, সেটা আমার যেটা মনে হয়, সেটাই।” একজন সফল অভিনেতার মুখে এমন কথা শুনে অনেকেই অবাক হয়েছেন। কারণ, বছরের পর বছর ধরে পর্দায় তার আবেগী উপস্থিতি দর্শকদের মুগ্ধ করে আসছে।

বিশেষ করে প্রেমের গল্পে সালমানের কান্নার দৃশ্য আজও দর্শকদের মনে গেঁথে আছে। ‘তড়প তড়প কে’ গানে ঐশ্বরিয়া রাইয়ের দিকে তাকিয়ে তার ভাঙা হৃদয়ের কান্না কিংবা ‘তেরে নাম’ ছবিতে এক নিঃস্ব প্রেমিকের যন্ত্রণাময় অভিব্যক্তি—এসব দৃশ্য আজও বহু দর্শকের চোখ ভিজিয়ে দেয়। অথচ সালমানের দাবি, তিনি নাকি ঠিকভাবে কাঁদতেও পারেন না।

কান্না প্রসঙ্গে নিজের এক অদ্ভুত উপলব্ধির কথাও শেয়ার করেছেন তিনি। সালমান বলেন, “আমার মনে হয়, আমি কাঁদলে লোকে সেটা দেখে হাসে।” 

তবে সালমান খানের এই আত্মমূল্যায়নের সঙ্গে একমত নন অনেক দর্শক ও চলচ্চিত্র সমালোচক।

তাদের মতে, সালমানের আবেগঘন অভিনয় শুধু পর্দাতেই সীমাবদ্ধ নয়, তা সরাসরি দর্শকের হৃদয়ে আঘাত করে। তার কান্না, কষ্ট আর ভাঙা অনুভূতিগুলোই তাকে আলাদা করে চেনায়। হয়তো নিজেকে কখনোই ‘অভিনেতা’ হিসেবে ভাবেন না সালমান খান। কিন্তু দর্শকদের চোখে তিনি ঠিকই সেই মানুষ, যিনি হাসাতে জানেন, কাঁদাতে জানেন—আর অনুভূতির জায়গায় পৌঁছে যেতে পারেন নিঃশব্দেই।

 

এসি//

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন