আর্কাইভ থেকে লাইফস্টাইল

৩ রোগের নিপাত যেতে কিশমিশ মিশানো পানি

আমরা অনেকেই কিশমিশ পছন্দ করে থাকি। কেক বা পুডিং-এর স্বাদ বাড়াতেও দেয়া যায় কিশমিশ। বেশি দামও নয় কিশমিশের। এ দিকে এর গুণের কথা বলতে গেলে দামের সঙ্গে কোনও তুলনাই হয় না। এই খাবারে রয়েছে  অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। আর এই অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কিন্তু নানা অসুখে দারুণ কার্যকরী। অ্যানিমিয়া থেকে শুরু করে নানা অসুখ দূর করে দেয় এই খাবার।

এছাড়াও কিশমিশে রয়েছে আয়রন থেকে শুরু করে নানা ধরনের ভিটামিন ও মিনারেল। কিশমিশ না-খেয়ে শুধু কিশমিশের পানি খেলেও সেই ভিটামিন ও মিনারেল শরীরে ঢোকে।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কিশমিশের ভেজানো পানি খেলে লিভারে জৈব রাসায়নিক প্রক্রিয়া শুরু হয়। যার দরুন শরীরের অভ্যন্তরে দ্রুত রক্ত পরিশোধন হতে থাকে। অন্তত টানা চার দিন কিশমিশের পানি পান করলে, পেট একদম পরিষ্কার হয়ে যাবে। কোষ্ঠকাঠিন্য কমায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা রয়েছে অনেকেরই। এক্ষেত্রে পেট পরিষ্কার হয় না। ফলে রোগীর বেজায় কষ্ট হয়। এই মানুষগুলি রোজ সকালে খেয়ে নিতে পারেন কিশমিশ যুক্ত পানি। এতে ভালো থাকে বিপাকের হার। এমনকী পেট পরিষ্কার হয়ে যায় দ্রুত। তবে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা নিয়ে বসে না থেকে যত দ্রুত সম্ভব শরণাপন্ন হতে হবে চিকিৎসকের। তবেই ভালো থাকবেন। ওজন কমায় ওজন বেশি থাকাটাও এক ধরনের অসুখ। প্রচুর মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন নিয়মিত। এবার ওজন কমাতে চাইলে আপনি খেয়ে নিতে পারে কিশমিশ মিশানো পানি। এতে থাকে গ্লুকোজ ও ফ্রুকটোজ। ফলে শরীরে মেলে অনেকটা শক্তি। এমনকী ওজনও বাড়ে না। কিশমিশ ত্বকের জন্য ভালো শীত পড়েছে। এই সময়ে ত্বকের সমস্যা গুরুতর হয়ে দেখা দেবে। এই পরিস্থিতিতে আপনি খেয়ে নিতেই পারেন এমন কিছু খাবার যা শরীর সুস্থ রাখতে পারে। এমনকী ত্বক রাখে ভালো। সেই তালিকায় কিশমিশ মিশানো পানি একদম প্রথমে উঠে আসবে। এই পানি খেলে ত্বক থাকে ভালো। তাই চিন্তার কোনও কারণ নেই। যেভাবে বানাবেন কিশমিশ মিশানো পানি- ১৫০ গ্রাম কিশমিশ নিয়ে ভালো করে ধুয়ে ফেলতে হবে। তারসঙ্গে মিশিয়ে নিন ২ কাপ পানি। তারপর সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে উঠে খেয়ে নিন সেই কিশমিশ মিশ্রণের পানি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন