আর্কাইভ থেকে ফুটবল

কাতার বিশ্বকাপ নিয়ে যে কারণে খুশি নারী দর্শকরা

কাতারের মতো একটি রক্ষণশীল দেশে বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে অনেক সমর্থক ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছিলেন। বিতর্কের শেষ ছিল না ফুটবল দুনিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আসর বিশ্বকাপের এবারের আয়োজন নিয়ে। কারণ, দেশটিতে মদ বিক্রি অত্যন্ত সীমিত। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে কিছু নারী ভক্তের হয়েছে নিরাপদ অভিজ্ঞতা।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ইংল্যান্ডের ফুটবল ভক্ত এলি মোলোসন বলেছেন, আমি নারীদের জন্য একটি খুব বিপজ্জনক জায়গা মনে করছিলাম। আমি ভাবিনি এখানে নিরাপদে থাকব... এখানে আসার পর এমনটা হয়নি। একজন পর্যটক নারী দর্শক হিসেবে আমি খুব নিরাপদ বোধ করেছি।

হার গেম টু (HerGameToo) নামে ফুটবলে যৌনতা মোকাবিলায় একটি ক্যাম্পেইনের দূত হিসেবে কাজ করেন মোলোসন। তিনি বলেন, তার বাবা এতটাই উদ্বিগ্ন ছিলেন নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে তার সঙ্গে কাতারে এসেছিলেন, কিন্তু দেখা গেছে একজন প্রহরী হিসেবে তার পরিষেবার কোনো প্রয়োজন নেই।

১৯ বছর বয়সী এই তরুণী বলেন, মদের অভাব বিশ্বকাপে খেলাগুলোকে কেন্দ্র করে কম আপত্তিকর পরিবেশ তৈরিতে অবদান রেখেছে। কিন্তু তার মতে, ব্যাপারটি বেশির ভাগই সাংস্কৃতিক।

তিনি বলেন, এটি আসলে সামাজিকভাবে রক্ষণশীল হওয়ার কারণে হয়েছে। আমি মনে করি মদ যৌন হয়রানি, হুমকি বা হেনস্তার মতো বিষয়গুলোর চেয়ে বৈরিতা তৈরিতে কিছুটা বেশি অবদান রাখে।

এই তরুণী আরও বলেন, ‘আমি অনেক আড্ডাবাজি পছন্দ করি, আমি একটি ভালো পরিবেশ পছন্দ করি, আপনি সত্যিই এখানে এত কিছু পাবেন না। তবে এখানকার পরিবেশ খুব আলাদা, একই সঙ্গে এটা অনেক বেশি আনন্দদায়ক ও পরিবার-বান্ধব...। কিন্তু ইংল্যান্ডের মতো একই পরিবেশ আপনি এখানে পাবেন না।’

কাতার

২১ বছর বয়সী আর্জেন্টিনার নারী দর্শক আরিয়ানা গোল্ড রয়টার্সকে বলেন, তিনি মধ্যপ্রাচ্যে ভ্রমণের আগে নার্ভাস ছিলেন। কারণ, কী হতে পারে, সে সম্পর্কে তার ধারণা ছিল না।

তিনি বলেন, দেশটি নারীদের জন্য সত্যিই চমৎকার। আমি ফুটবল খুব পছন্দ করি এবং আমি যখন আমার দেশে ছিলাম তখন আমি ভেবেছিলাম যে এটি (কাতার) শুধু পুরুষদের জন্য একটি এলাকা। এবং দেশটি নারীদের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে, কিন্তু না। আমি খুব স্বস্তি পাচ্ছি এবং জায়গাটি খুব সুন্দর।

কাতারের কিছু বার এবং হোটেলে মদ পাওয়া যায়। তবে বিশ্বের বৃহত্তম ফুটবল টুর্নামেন্টে সাধারণত যে পরিমাণ মদ্য পান হয়ে থাকে, সেটির এবার স্পষ্ট অভাব রয়েছে৷

ইংল্যান্ডের নারী দর্শক এমা স্মিথ বলেন, বিশ্বকাপ এখনও বেশ ভালো পরিবেশে হচ্ছে, যদিও কোনো পানীয় নেই এবং সবাই সচেতন হচ্ছে। প্রত্যেকে এটা মেনে নিয়েই চলছে এবং সবাই খুশি।

শেফিল্ড থেকে আসা ৩৩ বছর বয়সী এমা কি কাতারে নিরাপদ বোধ করেছেন, সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, হ্যাঁ। অবশ্যই, অবশ্যই। কারণ এখানে মদের কোনো বিষয় নেই। সত্যিই নিরাপদ বোধ করছি।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন