আর্কাইভ থেকে ফুটবল

রোনালদোর বাদ পড়ার কারণ জানালেন পর্তুগাল কোচ

সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ষোলোর ম্যাচ শুরুর আগে থেকেই কানাঘুষা চলছিল - গুরুত্বপূর্ণ এ ম্যাচ একাদশে থাকবেন তো ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো? অনিশ্চয়তার গুঞ্জন সত্যিতে পরিণত হয় যখন দেখা গেল একাদশে সত্যিই নেই পর্তুগালের দীর্ঘদিনের কান্ডারি। ২০০৪ সালের পর এ প্রথম বড় কোন টুর্নামেন্টে বেঞ্চে রোনালদো! তবে কী দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের দিন কোচ ফার্নান্দো সান্তোসের সঙ্গে ঝামেলা করেই একাদশ থেকে জায়গা হারালেন তিনি? পর্তুগাল কোচ অবশ্য বলছেন ভিন্ন কথা।

রোনালদোর বদলে একাদশে যে নেমেছিল ইতিহাস গড়েছে সেও। পর্তুগালের জার্সিতে প্রথমবার প্রথম একাদশে খেলতে নেমেছিলেন গনসালো রামোস। বিশ্বকাপে এটাই প্রথমবার একাদশে থেকে খেলতে নামা তার। আর নেমেই দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক করেছেন বেনফিকার ২১ বছর বয়সী এ তারকা।

তারপরও ম্যাচজুড়ে সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা রোনালদোর একাদশে না থাকাটা। তাই ম্যাচ শেষে কোচ সান্তোসকে যতটা না কথা বলতে হয়েছে রামোসের হ্যাটট্রিক নিয়ে, তারচেয়ে বেশি রোনলদোর বাদ পড়া নিয়ে।

সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে সান্তোস বলেন, এখনো কিছু বিষয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার বাকি আছে। রোনালদোর সঙ্গে আমার সম্পর্ক খুবই ভালো, সব সময়ই ছিল। ১৯ বছর বয়স থেকে ওকে চিনি, ২০১৪ সালে আমি যখন পর্তুগালে আসি তখন জাতীয় দলে সে তারকা হয়ে উঠছে। রোনালদো ও আমার মধ্যে কোনো ভুল বোঝাবুঝি নেই। আমি তাকে এখনো দলের একজন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার হিসেবে বিবেচনা করি।

দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে ম্যাচে রোনালদোর বাজে পারফরম্যান্সের কারণে দ্বিতীয়ার্ধে তাকে মাঠ থেকে তুলে নেন কোচ সান্তোস। কোচের সিদ্ধান্তে খুশি হতে পারেননি পর্তুগিজ অধিনায়ক। মাঠ ছাড়ার সময় তার অঙ্গভঙ্গি কোচের জন্য খুব একটা সুখকর ছিল না। রোনালদোর বাদ পড়ার পেছনে কি এ ঘটনার হাত আছে?

এমন প্রশ্নে সান্তোস সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তার দল থেকে বাদ পড়ার পেছনে সে ঘটনার কোন হাত নেই। তিনি বলেন, শৃঙ্খলাজনিত ব্যাপার এরই মধ্যে সমাধান হয়ে গেছে। রোনালদো অতীতে কী করেছে সেটা দেখাও কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। সে অন্যতম সেরা ফুটবলার। আর আমাদের এক সঙ্গেই কাজটা করতে হবে।

উল্লেখ্য, চলতি মৌসুমে শৃঙ্খলাজনিত ব্যাপারে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছিলেন রোনালদো।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন