আর্কাইভ থেকে জাতীয়

রিজভী, ইশরাকের পর এবার সোহেলকে গ্রেপ্তারে পরোয়ানা

এবার বিএনপি নেতা হাবিব-উন-নবী খান সোহেলসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে নয় বছর আগে রাজধানীতে হেফাজতে ইসলামের অবস্থানের দিন নাশকতার এক মামলায় এই পরোয়ানা জারি করা হয়।

বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর হাকিম রাজেশ চৌধুরী সোহেলসহ ১৩ নেতার বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করেন।

১০ ডিসেম্বর ঢাকায় বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের আগে দলটির পক্ষ থেকে পুলিশের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তার ও হয়রানির অভিযোগের মধ্যে এক সপ্তাহে তিন কেন্দ্রীয় নেতাকে গ্রেপ্তারের এই নির্দেশ এলো।

মঙ্গলবার (৬ ডিসেম্বর) ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র প্রয়াত সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনের বিরুদ্ধে এবং ১ ডিসেম্বর দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে গ্রেপ্তারে আলাদা আদেশ জারি হয়।

রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা ছিল ২০১২ সালে বিএনপির কর্মসূচির দিন সিটি করপোরেশনের গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায়। এই মামলার আসামি দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও। ১ ডিসেম্বর ফখরুল হাজিরা দিলেও আদালতে যাননি রিজভী। সেদিনই জারি হয় পরোয়ানা।

অন্যদিকে ইশরাকের বিরুদ্ধে ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের বিপরীতে অগ্রণী ব্যাংকের কর্মীদের গাড়িতে আগুন দেয়ার অভিযোগে হয় মামলা। সোমবার (৫ ডিসেম্বর) এই মামলায় তার আদালতে হাজিরার কথা ছিল কিন্তু তিনি যাননি।

সোহেলের বিরুদ্ধে মামলাটিও প্রায় ১০ বছর আগের। ২০১৩ সালের ৫ মে শাপলা চত্বরে ধর্মভিত্তিক সংগঠন হেফাজতে ইসলামের অবস্থানের দিন সহিংসতার ঘটনায় পল্টন থানায় অভিযোগটি করা হয়।

বুধবার এই মামলায় সোহেল ও আরও ১২ জন হাজির না হয়ে তাদের আইনজীবীর মাধ্যমে করেন সময় আবেদন। তবে সে আবেদন নাকচ করেন বিচারক।

মামলায় বলা হয়, সে হেফাজত ইসলাম, জামায়াত-শিবির ও বিএনপির অঙ্গসংগঠনের অজ্ঞাতনামা ১০০-১৫০ নেতা-কর্মী বিভিন্ন সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকে। বেআইনি অস্ত্রশস্ত্রে, ইটপাটকেল, বাঁশের লাঠি, লোহার রড, হকিস্টিক নিয়ে রাস্তায় যানবাহন চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে, পুলিশের ওপর হামলা করে। তারা হত্যার উদ্দেশে ককটেল ও হাতবোমা নিক্ষেপ করে। এতে অনেক পুলিশ সদস্যসহ অনেকে আহত হয়।

পল্টন মডেল থানার এসআই সঞ্চয় কুমার দাসের করা মামলায় বিএনপি নেতা সোহেলসহ আসামি করা হয় ৬৯ জনকে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন