আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

আজ গাইবান্ধায় হানাদার মুক্ত দিবস

গাইবান্ধা হানাদার মুক্ত দিবস আজ। ১৯৭১ সালে ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর আজকের এই দিনে গাইবান্ধাকে মুক্ত করেছিলেন মুক্তিযোদ্ধারা। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর গাইবান্ধার আকাশে ওড়ে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। এই দিবসটি উপলক্ষে ব্যাতিক্রম এক প্রদর্শনী আয়োজন করা হয়েছে। মহান স্বাধীনতার যুদ্ধে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যারা জড়িত ছিলেন তাদের অবদান মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক স্মারকে মাধ্যমে তুলে ধরা হয়।

আজ বুধবার (৭ ডিসেম্বর) গাইবান্ধা পৌর শহীদ মিনার চত্বরে বাংলাদেশ উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী জেলা সংসদের এ প্রদশর্নী করা হয়।

দিনব্যাপী উত্তরবঙ্গ  জাদুঘরের  মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক স্মারক গুলো বীর মুক্তিযোদ্ধা,স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রীসহ অসংখ্যা লোক এ প্রদশর্নী দেখতে ভিড় করে। কুড়িগ্রাম জেলা মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক ও লেখক এস এম আব্রাহাম লিংকনের উত্তরবঙ্গ জাদুকর থেকে  মুক্তিযুদ্ধ স্বারকগুলো নিয়ে এসে প্রদর্শনী করা হয়েছে। শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ এ প্রদর্শনী ঘুরে দেখছে।

গাইবান্ধা সরকারী কলেজের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী জুরাইনা ইকবাল জানান, গাইবান্ধায় কয়েকজন সিরোবি, বীরঙ্গনা, ,মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ তাদের বিষয়ে জানতে পারলাম। এরকম আয়োজন করার জন্য আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ।

শিক্ষার্থী ইঞ্জিনিয়ার আরিফা রহমান নদী জানান, এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমি অনেক কিছু জানলাম। আমরা যারা বর্তমান প্রজন্ম অনেকই এ বিষয়গুলো জানতাম না। আমরা শুধু বইয়ে পড়েছি। নিজের চোখে দেখতে পারলাম।

শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান জানান, আমরা মুক্তিযোদ্ধা সম্পর্কে জানি না। যারা যুদ্ধ করেছে তাদের কাছ থেকে জানা ছাড়া উপায় ছিল না। এখন এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে আমাদের অজানা গুলো সহজেই জানতে পারলাম। বর্তমান প্রজন্মের জন্য গুরুত্বপূর্ন বিষয়। এ বিষয়গুলো আমাদের সকলের জানার প্রয়োজন।

সম্বলিত সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রউফ জানান, জেলার অনেক বীরঙ্গনা ছিলেন, আমি তা নিজেই জানতাম না। এই স্বারক প্রদর্শনীতে দেখলাম জেলার অনেক জনই মহান মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের রেখেছে। আজকে এই প্রদর্শনী দেখার পর নিজেকেই গর্বিত মনে হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যেন আগামী প্রজন্মের কাছে হাজার হাজার বছর তুলে ধরা যায়। এখনই তার পদক্ষেপ নিতে হবে আমাদেরকে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন