মিয়ানমারে সু চির বিচার শুরু
সেনা অভ্যুত্থানে উৎখাত হওয়া মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চির বিরুদ্ধে বিচার কাজ শুরু হচ্ছে আজ। গেল নভেম্বরে জাতীয় নির্বাচনে প্রচারকালে করোনার বিধিনিষেধ ভঙ্গের অভিযোগে এই বিচার হবে। যদিও সু চির পক্ষ থেকে সব ধরণের অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, সূ চির আইনজীবী বলেছেন, ৭৫ বছর বয়সী নোবেল বিজয়ী নেত্রীর বিরুদ্ধে বিচার প্রক্রিয়ার এই প্রথম ধাপ জুলাইয়ের শেষ নাগাদ চলতে পারে।
মিয়ানমারের জান্তা সরকারের দাবি, ক্ষমতায় থাকাকালে ঘুষ হিসেবে ইয়াঙ্গুনের মুখ্যমন্ত্রীর কাছ থেকে ছয় লাখ মার্কিন ডলার সমপরিমাণ অর্থ ও ১১ কেজি ৪০০ গ্রাম স্বর্ণ নিয়েছিলেন সু চি।
এর আগে দুর্নীতি দমন কমিশনের উদ্বৃতি দিয়ে দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানায়, দাতব্য সংস্থা দাউ খিন কিই ফাউন্ডেশনের সভাপতি থাকাকালে জমির অপব্যবহার সম্পর্কিত অভিযোগের পাশাপাশি ঘুষ হিসেবে অর্থ ও স্বর্ণ নিয়েছিলেন সু চি।
গেল এক ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের পর সু চির বিরুদ্ধে ছয়টি অভিযোগ আনা হয়। এর মধ্যে একটি অবৈধভাবে ওয়াকিটকি কেনার মামলা। ওই সময় তাকে গ্রেপ্তার করে গৃহবন্দি করা হয়। তার সঙ্গে সঙ্গে আটক ও গৃহবন্দি করে রাখা হয় সু চির দলের অন্য নেতাদেরও।
এদিকে, সু চির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত উল্লেখ করে তা থেকে অব্যহতি দিয়ে দ্রুত মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ। এক বিবৃতিতে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের ডেপুটি এশিয়া ডিরেক্টর ফিল রবার্টসন বলেছেন, সু চির বিরুদ্ধে যে বিচার হচ্ছে তা অবান্তর, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এই মামলা প্রত্যাহার করা দরকার।
সোমবার দেশটির ইয়াঙ্গুন শহরে গণতন্ত্রের দাবিতে রাস্তায় নেমেছে আন্দোলনকারীরা।
এর আগে, গেল শুক্রবার জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনার মিচেল ব্যাচেলেট বলেন, দিন দিন মিয়ানমারে সংঘাত ঘনীভূত হচ্ছে। দেশটির জনগণের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীকে ভারি অস্ত্র ব্যবহার করা থেকেও বিরত থাকার আহ্বান জানান মিচেল ব্যাচেলেট।
তবে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতিসংঘ মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে মিয়ানমারের সেনা সরকারের পররাষ্ট্র দপ্তর। সেনাবাহিনী শুরু থেকেই বলে যাচ্ছে, ভোটার জালিয়াতির নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসেছিল সু চির দল এনএলডি।
এসএন