বিএনপির শূন্য আসনে ভোট কবে জানালো ইসি
জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বিএনপির সাত সংসদ সদস্য। আজ রোববার (১১ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদ সচিবালয়ে গিয়ে বিএনপির পাঁচ সাংসদ পদত্যাগপত্র জমা দেন।
এ বিষয়ে দুপুরে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা হয় নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।
মো. আলমগীর বলেন, এমপিদের পদত্যাগের গেজেট প্রকাশের পর শূন্য আসনে উপনির্বাচন হবে। বিএনপির সংসদ সদস্যদের পদত্যাগের গেজেটের ৯০ দিনের মধ্যে শূন্য আসনে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, আমরা মিডিয়ায় দেখেছি, ওনারা পদত্যাগ করেছেন। এজন্য আসন শূন্য হওয়ার কোনো গেজেট পাইনি। যদি সত্যিকার অর্থেই ওনারা পদত্যাগ করে থাকেন, তাহলে আসন শূন্য হওয়ার ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন হবে। স্পিকার বা তার অনুপস্থিতিতে যদি ডেপুটি স্পিকারের কাছে পদত্যাগপত্র দেন, তখন গেজেট হবে। গেজেট হলে তারপর আমাদের কাজ শুরু হবে।
ইসি আলমগীর বলেন, বিএনপির নির্বাচনে অংশগ্রহণ রাজনৈতিক ব্যাপার। কমিশনের দায়িত্ব শুধুমাত্র নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা। নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে বিএনপির আস্থা ফেরাতে কাজ করবে ইসি। কোনো একটি দলের কথায় কমিশন পদত্যাগ করবে না।
বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় গণসমাবেশে বর্তমান নির্বাচন কমিশন বাতিল করে সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠনের দাবি জানানোর ব্যাপারে তিনি বলেন, একটি দলের কথায় পদত্যাগ করবে না নির্বাচন কমিশন।
তিনি বলেন, আমি মনে করি ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন- ইভিএমের মাধ্যমে ভোট হলে ভালো। প্রথমে অভিযোগ আসে ভোটে কারচুপি হয়েছে। যেহেতু ইভিএম-এ কারচুপির সুযোগ নেই, অতএব এই অভিযোগ করার সুযোগ নেই।