আর্কাইভ থেকে শিক্ষা

ধর্ষণের অভিযোগে বিচার দাবিতে জাবিতে বিক্ষোভ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের শিক্ষার্থী রাকিবের বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও নিপীড়নের অভিযোগে দ্রুততম সময়ের মধ্যে উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ করেছে শিক্ষার্থীরা।

আজ রোববার (১১ ডিসেম্বর) দুপুর ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর হতে এই বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনে এসে শেষ হয়।

গেলো ২১ আগস্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌন নিপীড়ন বিরোধী সেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের এক ছাত্রের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত রাকিব আহমেদ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের স্নাতকোত্তর পর্যায়ের (৪৬ ব্যাচ) ছাত্র।

অভিযুক্ত ছাত্রের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক থাকাকালীন তাদের ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল করে দেয়ার হুমকি প্রদানপূর্বক কয়েকবার ঐ ছাত্রীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগপত্রে জানা যায়।

বিক্ষোভ মিছিলে চলচিত্র আন্দোলনের পাঠাগার ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক ইরফানুল ইসলাম ইফতু বলেন, রাকিব যে নিপীড়ন করেছে সেটা আমরা মানতে পারি না। এই বিশ্ববিদ্যালয় কখনো নিপীড়কদের আস্তানা হবে না।

ছাত্র ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক অমর্ত্য রায় বলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের একটা অভিযোগ আমরা শুনতে পাই। সেটা পরবর্তীতে সিন্ডিকেটে পাঠানো হয়। ধর্ষণের অভিযোগ কেনো সিন্ডিকেটে গুরুত্ব পাই না এটা আমাদের ভাবায়। আগামী সিন্ডিকেটে দ্রুততম সময়ের মধ্যে দোষীর শাস্তি এই প্রশাসন নিশ্চিত করবে এমনটাই আমাদের আরজি।

চলচ্চিত্র আন্দোলনের সহ-সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দে বলেন, আমরা দেখতে পাচ্ছি দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও প্রশাসন ব্যবস্থা নিতে পারছে না। যে ভিক্টিম তার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দেয়া হয়েছে। যতদিন পর্যন্ত এই বিচারকাজ শুরু না হচ্ছে ততোদিন পর্যন্ত ভিক্টিমও নিরাপদ নয়। আর যদি কাল বিলম্ব হয় তাহলে সেই ৯৮ এর আন্দোলন আবার জাহাঙ্গীরনগরে হবে।

এর আগে গেলো ৪ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন জাবি সংসদের দপ্তর সম্পাদক মাহমুদুল হাসান হৃদয় প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয় এমন ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানায় জাবি শাখা ছাত্র ইউনিয়ন।

এছাড়াও যৌন নীপিড়নবিরোধী সেল সম্পর্কে ওই বিবৃতিতে বলা হয়, যৌন নিপীড়নবিরোধী সেলের অভিযোগকারী ও অভিযুক্তের প্রতি অনেক বেশি লিঙ্গ সংবেদনশীল আচরণের প্রকাশ এবং কার্যকর নিশ্চয়তা চান। যতদিন পর্যন্ত উক্ত ঘটনার তদন্ত রিপোর্টের ফলাফল আসবে না ততদিন পর্যন্ত অভিযুক্ত যেন তার স্নাতক সম্পন্নকৃত সার্টিফিকেট তুলতে না পারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তারও নিশ্চয়তা চান নেতৃবৃন্দ।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন