আর্কাইভ থেকে ক্রিকেট

চট্টগ্রাম টেস্ট: হারই বাংলাদেশের সঙ্গী

যেখানে টেস্ট ইতিহাসেই ৪১৮ রানের বেশি তাড়া করার রেকর্ড নেই, সেখানে বাংলাদেশ ভারতের মতো দলের বিপক্ষে এত বড় লক্ষ্য তাড়া করে ফেলবে, এমন ভাবা বাড়াবাড়িই ছিল। সামনে ছিল ৫১৩ রানের বিশ্বরেকর্ড লক্ষ্য। জবাবে ৩২৪ রানেই অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। এর ফলে ১৮৮ রানে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্ট ১৮৮ রানে হারলো টাইগাররা।

রোববার (১৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সকাল সাড়ে ৯টায় প্রথম টেস্টের পঞ্চম দিনের খেলা শুরু হয়।

প্রথম ইনিংসটাই যে পিছিয়ে দিয়েছিল টাইগারদের। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে কিছুটা লড়াই করেছে সাকিব আল হাসানের দল। ১৫০-এর পর এবার অলআউট হয়েছে ৩২৪ রানে। চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশকে ১৮৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দুই ম্যাচ সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ভারত।

বাংলাদেশের দরকার ছিল ২৪১ রান, হাতে ৪ উইকেট। এমন দিনের শুরুতেই মিরাজের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ব্যক্তিগত ১৩ রান করে মোহাম্মদ সিরাজের বলে কাভার ড্রাইভ খেলতে গিয়ে আউট হন এই অলরাউন্ডার। কিছুক্ষণ লড়াই করে ফেরেন সাকিবও।

ইনিংসের ১১১তম ওভারে এসে সাকিব ফিরেছেন বোল্ড আউট হয়ে। কুলদীপ যাদবের বলে আউট হওয়ার আগে টাইগার এই অধিনায়ক করেন ৮৪ রান। সাকিব-মিরাজের বিদায়ের পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ৩২৪ রানে থামে টাইগারদের ইনিংস।

এর আগে গতকাল চতুর্থ বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে অভিষেক টেস্টেই সেঞ্চুরির রেকর্ড স্পর্শ করেন জাকির হাসান। গতকাল ১৭ রানে অপরাজিত থেকে দিন পার করার পর আজ ৮৩ রান যোগ করে প্রথম সেঞ্চুরির স্বাদ পেলেন বাঁহাতি এই ওপেনার। ওপেনার হিসেবে বাংলাদেশের হয়ে অভিষেক টেস্টে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ডটাও নিজের করে নিয়েছেন তিনি। ২১৯ বলে ১৩ চার ও ১ ছয়ে সেঞ্চুরি উদযাপন করেন জাকির।

এর আগে অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশের হয়ে সেঞ্চুরি করেছেন আরো তিন ক্রিকেটার। অভিষেক টেস্টে আমিনুল ইসলাম বুলবুল, এরপর মোহাম্মদ আশরাফুল। সবশেষ এই ক্লাবে যুক্ত হয়েছিল পেসার আবুল হাসান রাজুর নাম। এবার চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে এই তালিকায় ঢুকলেন জাকির।

বাংলাদেশের হয়ে টেস্ট অভিষেকে ওপেনার হিসেবেও জাকির এখন এগিয়ে। বাংলাদেশের হয়ে আগের সেরা ছিল জাভেদ ওমর বেলিমের। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকে তিনি অপরাজিত থাকেন ৮৫ রানে।

সেঞ্চুরি করে জাকিরের ফেরার পরই ব্যাটিংয়ে ধস নামে টাইগার শিবিরে। মুশফিকুর রহিমের পর ফিরে যান নুরুল হাসান সোহানও। দলীয় ২৩৫ রানের মাথায় অক্ষর প্যাটেলের বলে বোল্ড হয়ে ২৩ রান করে ফিরে যান মুশফিক। একই ওভারে ফিরে যান নুরুল হাসান সোহানও। উইকেটকিপার এই ব্যাটার করেন মোটে ৩ রান।

দুই উইকেট হারানোর পর লিটন দাস এবং জাকির হাসানের জুটিতে বড় পার্টনারশিপের আশা দেখছিল বাংলাদেশ। তবে চা বিরতির মিনিট দশেক আগেই ঘটে বিপত্তি। কুলদীপ যাদবের বলে ব্যক্তিগত ১৯ রানে লং অনের কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তারকা এই ব্যাটার। ভেঙে যায় ৪২ রানের জুটি।

চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনে জাকির-শান্তর জুটিতে বেশ ভালোই এগিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে দলীয় ১২৪ রানের মাথায় উমেশ যাদবের বলে স্লিপে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান শান্ত। করেন ৬৭ রান।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন