আর্কাইভ থেকে পরামর্শ

কমলালেবু বেশি খেলেও হতে পারে সমস্যা

শীতকাল মানে শুধু বড়দিন, পিকনিক, পিঠে-পুলি নয় শীতের রোদে পিঠ দিয়ে কমলালেবু খাওয়ারও মৌসুম। শহরে শীত ঢুকতেই বাজার ছেয়েছে কমলালেবুতে। বাজারফেরত অনেকের ব্যাগেই উঁকি দিচ্ছে গোল গোল কমলালেবু। অফিসের টিফিন কিংবা সকালের খাবার- শীতের সঙ্গী সেই কমলালেবু। সামনেই বড়দিন, ফলে কমলালেবু দিয়ে অনেকেই কেক বানান। আট থেকে আশি- কমলালেবুর প্রতি ভালবাসা রয়েছে অনেকেরই।

কমলালেবু এমনিতে ভীষণ স্বাস্থ্যকর। কমলালেবু শরীরে পানির জোগান দেয়। এর মাধ্যমে শরীরে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি প্রবেশ করে। ফলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। কিন্তু স্বাস্থ্যকর মানেই যে বেশি খেতে হবে, তা কিন্তু নয়। অত্যধিক পরিমাণে কমলালেবু খেলে সমস্যাও হতে পারে।

কমলালেবুতে স্বাস্থ্যকর উপাদানের অভাব নেই। এই ফলে রয়েছে ৮৭ গ্রাম জল, ৪৭ গ্রাম ক্যালোরি, ০.৯ গ্রাম প্রোটিন, ১১.৮ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৯.৪ গ্রাম চিনি, ২.৪ গ্রাম ফাইবার এবং প্রায় ৭৬ শতাংশ ভিটামিন সি। এত কিছু উপকারী উপাদান থাকা সত্ত্বেও রোজ রোজ কমলালেবু খেতে বারণ করছেন পুষ্টিবিদরা।

কমলালেবু

পুষ্টিবিদদের মতে, সারা দিনে বেশি পরিমাণে কমলালেবু খেলে কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা হতে পারে। ডায়রিয়া, গ্যাস-অম্বলের মতো সমস্যাও দেখা দিতে পারে। কমলালেবুতে ফাইবার ছাড়াও ভিটামিন সি রয়েছে ভরপুর পরিমাণে। এই ভিটামিন অত্যাধিক পরিমাণে শরীরে গেলে বমি বমি ভাব, অনিদ্রা এবং হৃদরোগের মতো সমস্যাও দেখা দেয়। যাদের শরীরে পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেক বেশি, তাদের কমলালেবু না খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। খেলেও চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করে খাওয়াই ভাল। ফলে কমলালেবু শরীরের পক্ষে যতই স্বাস্থ্যকর হোক না কেন, দিনে সর্বোচ্চ ১-২টির বেশি কমলালেবু খাওয়া ঠিক নয়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন