পঞ্চগড়ে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড
পৌষের প্রথম সপ্তাহে দেশের সর্ব উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে জেঁকে বসেছে শীত। ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়েছে সমগ্র এলাকা । রাতে বৃষ্টির মত কুয়াশা ঝড়ছে। সকাল ১০টা পর্যন্ত কুয়াশায় ঢাকা ছিল সমগ্র এলাকা । সকাল ১০ টার পর সুর্য উঠলেও উত্তাপ ছিল কম। দিন দিন তাপমাত্রা কমতে থাকায় হাড়কাঁপানো শীত অনুভুত হচ্ছে। হিমেল বাতাস আর ঘন কুয়াশার কারণে প্রতিদিনেই নামছে তাপমাত্রার পারদ।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস যা সারা দেশের সর্ব নিম্ন তাপমাত্রা।
এর আগের দিন বুধবার (২১ ডিসেম্বর) পঞ্চগড়ের ছিল ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ ভোরে ঘন কুয়াশা থাকার কারণে দুর্ঘটনা এড়াতে জেলার বিভিন্ন সড়কে যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে সাবধানে চলাচল করতে দেখা গেছে।
গেলো কয়েকদিনের টানা তীব্র শীতে দুর্ভোগে পড়েছেন এ জেলার খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। জীবিকার তাগিদে তীব্র শীতেও মাঠে কাজ করছেন নিম্ন আয়ের ও খেটে খাওয়া মানুষ। বরাবরের মত এবারও উত্তরের এই জনপদ পঞ্চগড়ে অনেক আগ থেকে শীত শুরু হয়েছে। তবে পুরো হেমন্তজুড়ে দিন দিন তাপমাত্রার পারদ নামতে থাকলেও কুয়াশার পরিমান ছিল কম।
পৌষের শুরুতেই গত এক সপ্তাহ থেকে উত্তরের হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশা জানান দিচ্ছে হাড়কাঁপানো শীতের অনুভূতি। সকালে ঘন কুয়াশা আর কনকনে শীতে খেটে খাওয়া মানুষকে কাজে যেতে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। হিমালয়ের কোলঘেঁষে অবস্থিত পঞ্চগড় জেলায় প্রতিবছরই শীত আসে কিছুটা আগেভাগে। আর শীত বিদায়ও নেয় সবার পরে। শীতের এই মৌসূমে হিমালয় থেকে বয়ে আসা উত্তরের বাতাসে শীতল হয়ে যায় পুরো জেলা। প্রতিবছর অগ্রহায়ণ মাসজুড়ে ঘন কুয়াশা থাকলেও এবার কিছুটা ব্যতিক্রম দেখা গেছে। মাসজুড়ে এবার ঘন কুয়াশা না থাকায় শীতের অনুভূতি ছিল কিছুটা কম।
এদিকে গরম কাপড়ের দোকান গুলোতে বেচা-বিক্রি বেড়ে গেছে। শীত নিবারনে সামর্থ অনুযায়ী গরম কাপড় কিনছেন ক্রেতারা। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রাসেল শাহ জানান, ঘন কুয়াশার কারণে রোদের তীব্রতা কম, এজন্যই শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। তবে ডিসেম্বরের শেষ দিকে এই এলাকায় দুটি মৃদু শৈতপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার আশংকা রয়েছে।