আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

মানবপাচার আইনে অমি’র বিরুদ্ধে করা মামলার প্রতিবেদন ১৪ জুলাই

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা পরীমণিকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা মামলার আসামি তুহিন সিদ্দিকী অমির বিরুদ্ধে মানবপাচারের অভিযোগে করা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৪ জুলাই দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ঢাকা মহানগর হাকিম মাসুদুর রহমান মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য এ দিন ধার্য করেন।

শনিবার (১৯ জুন) রাজধানীর দক্ষিণ খান থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

আদালতের সূত্র মতে, শুক্রবার (১৮ জুন) অমির মামলার এজাহার আদালতে পৌঁছায়। এরপর বিচারক মামলার এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১৪ জুলাই দিন ধার্য করেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার (১৭ জুন) রাজধানীর দক্ষিণ খান থানায় অমির বিরুদ্ধে মানবপাচার আইনে মামলা করে এক ভুক্তভোগী। মামলায় অমি ছাড়া আরও পাঁচজনের নাম উল্লেখ করা হয়। এছাড়া অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও পাঁচ থেকে সাতজনকে।

মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ নিয়ে অমির বিরুদ্ধে ৪টি মামলা হয়েছে।

এর আগে সোমবার (১৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর উত্তরা-১ নম্বর সেক্টরের-১২ নম্বর রোডের বাসা থেকে অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেফতার করে মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ।

পরের দিন মঙ্গলবার (১৫ জুন) ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ তাদের তিনজনকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর বিমানবন্দর থানার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা।

শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম নিভানা খায়ের জেসি আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ (৬৫) ও তুহিন সিদ্দিকী অমির (৩৩) সাতদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া মামলার অন্য তিন আসামি লিপি আক্তার (১৮), সুমি আক্তার (১৯) ও নাজমা আমিন স্নিগ্ধাকে (২৪) তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

গেল রোববার (১৩ জুন) রাত ৮টার দিকে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়ে অভিযোগ করেন চিত্র নায়িকা পরিমণি। সেই রাতেই সাংবাদিকদের বনানীর বাসায় ডেকে নিয়ে ঘটনার বর্ণনা তুলে ধরেন পরীমণি।

পুলিশ সদরদফতরের সহকারী মহাপরিদর্শক-এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) মো. সোহেল রানা মনে করেন ‘পরিমণি অবশ্যই ন্যায়বিচার পাবেন। আমরা তার ন্যায়বিচারের জন্য কাজ করব। কেন তিনি আইজিপি স্যারের নাম উল্লেখ করেছেন তা আমি বুঝতে পারছি না। আমরা নিশ্চিত, তিনি মোটেই আইজিপি স্যারের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি। আইজিপি স্যার সর্বদা নারী ও শিশুদের অধিকারের প্রতি অত্যন্ত শ্রদ্ধাশীল।’

গেল বুধবার (৯ জুন) রাত ১২টায় তাকে বিরুলিয়ায় নাসির উদ্দিন মাহমুদের কাছে নিয়ে যান অমি। ওই সময় নাসির নিজেকে ঢাকা বোট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দেন। সেখানে নাসির মদ খেতে অফার করেন। রাজি না হলে তাকে জোর করে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে চড়-থাপ্পড় মারেন। তারপর নির্যাতন ও হত্যার চেষ্টা করেন। অমিও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন