সন্তানকে লেখাপড়া করাতে হিমশিমে অভিভাবকরা
নিত্যপণ্যের পাশাপাশি বেড়েছে বই, কাগজ, কলমসহ সবধরনের শিক্ষা উপকরণের দাম। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে টিউশন ফি, গৃহশিক্ষকের বেতন, পোশাক এবং স্কুল ব্যাগের দামও। সন্তানকে লেখাপড়া করাতে হিমশিমে অভিভাবকরা।
রাজধানীর নীলক্ষেত শিক্ষা উপকরণের দোকান ঘুরে জানা যায়, কলম ডজনপ্রতি বেড়েছে ১৫ থেকে ২০ টাকা। ৫০ টাকার জ্যামিতি বক্স বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়, ১০০ টাকার জ্যামিতি বক্স ১৫০ টাকা। প্লাস্টিক ও স্টিলের স্কেল ডজনপ্রতি বেড়েছে ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকা । প্রতি ডজন রাবার বেড়েছে ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকা। ১০ টাকা দিস্তার কাগজ বিক্রি হচ্ছে ২৫ টাকায়।
নুর সাফিয়া নামের একজন গৃহীনি জানান, স্বামীর স্বল্প আয়ে দ্রব্যমূল্যের উর্ধগতির বাজারে টানাটানিতে চলে তাদের সংসার। সংসারে কাজের পাশাপাশি একটু বাড়তি আয়ের জন্য টিউশনি করেন তিনি। পরিবারের সব চাহিদা পুরণ করতে না পরলেও মেয়েকে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলার স্বপ্ন দেখেন। তবে নিত্যপণ্যের পাশাপাশি শিক্ষা ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় সে স্বপ্ন পূরণ করতে না পরার শংকায় আছেন তিনি।
তার মতো শঙ্কা আছেন রাজধানীর মগবাজারের বাসিন্দা শেখ মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান। সরকারি চাকরিজীবী এই অভিবাবক জানান ২০২০ সালের করোনা মহামারীর সময় অনলাইন ক্লাস করতে ছেলেকে স্মার্টফোন কিনে দেন ,তারপর থেকে বেড়েই চলছে চাহিদা। ছেলের শিক্ষা ব্যয়ের বাজেটে প্রতিমাসেই ঘাটতি দেখা দেয়। আর শহীদুজ্জামানে স্ত্রী মাহমুদা আক্তার জানান মধ্যবিত্ত পরিবারের চাপা কষ্টের কথা।
অন্যসব পণ্যের মতো শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়েছে ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ । নিত্যপণ্যের বাজারমূল্যের সাথে শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়তির চাপ সামলাতে জীবন মান ব্যয় কাটছাট করছেন দেশের সীমিত আয়ের মানুষ।