আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

দুই যুগ পর দুর্ভোগ লাঘব হচ্ছে ভাকুর্তাবাসীর

অবশেষে দীর্ঘ দুই যুগ ঢাকা আরিচা মহাসড়ক থেকে ভাকুর্তায় প্রবেশে তিনটি ঝুকিপূর্ণ সরু ব্রীজ ভেঙে নতুন করে নির্মাণ কাজ শুরু করেছে সরকার।

ইতোমধ্যে ঝুকিপূর্ণ তিনটি সরু ব্রীজ ভেঙে নতুন করে নির্মাণ কাজ দ্রুত গতিতে শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে ব্রীজ তিনটি ভাঙার ফলে মানুষ চলাচলে যেন কোন দুর্ভোগ না হয় সেজন্য বিকল্প রাস্তাও করা হচ্ছে।

এলাকাবাসী জানায়,সাভার উপজেলার ভাকুর্তা ইউনিয়ন রাজধানীর নিকটবর্তী। এই ইউনিয়নে অনেক মানুষের বসবাস। এই ইউনিয়নে কৃষকদের ফলানো বিভিন্ন সবজী যায় ঢাকা শহরে। কিন্তু ঢাকা আরিচা মহাসড়কের তুরাগ থেকে একটি রাস্তা গেছে ভাকুর্তার বিভিন্ন এলাকায়। যা ভাকুর্তা হয়ে মানুষজন গাড়ি নিয়ে খুব সহজেই যানজট এড়িয়ে মোহাম্মদপুর হয়ে ঢাকা কেরানীগঞ্জ ও পদ্মা সেতুতে যেতে পারে।

কিন্তু ব্রীজ তিনটি ঝুকিপূর্ণ ও সরু হওয়ায় মানুষজন চরম দুর্ভোগে পড়েছিলো। ব্রীজ তিনটি এতটাই সরু যে এক পাশে গাড়ি প্রবেশ করলে আরেক পাশে গাড়ি বন্ধ থাকতো যা প্রতিনিয়ত যানজট সৃষ্টি হতো।

পরে দুর্ভোগ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সোসাল মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করা হলে সরকারের টনক নড়ে।

পরে সম্প্রতি সরু তিনটি ব্রীজ ভেঙে ফেলে মানুষ চলাচলের সুবিধার্থে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয় ৩৫ কোটি টাকা ব্যায়ে দশ মিটার প্রশস্ত করণ করে তিনটি নতুন ব্রীজ নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছেন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর।

নির্ধারিত সময়ে ব্রীজ তিনটির কাজ সম্পন্ন হলে ভাকুর্তা বাসীর দীর্ঘ দুই যুগের দুর্ভোগ লাঘব হবে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে ব্রীজ তিনটির কাজ প্রতিনিয়ত তদারকি করছেন ভাকুর্তা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন। ব্রীজগুলি নতুন করে করে দেয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন ভাকুর্তা এলাকাবাসী।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন