মায়ের কান্নায় বদলে গেল বিচারকের রায়
নোয়াখালীর হাতিয়ায় আসামির জামিন শুনানি শুরু হয় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে। শুনানি শেষে বিচারক আসামির জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ সংবাদ শুনে আদালতের পাশে দাঁড়িয়ে থাকা আসামির মা কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বিচারক এজলাসে বসে সেই কান্নার আওয়াজ শুনে তাৎক্ষণিক আসামিকে জামিন দিয়ে দেন।
বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালী হাতিয়ায় সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ ঘটনা ঘটে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) বাদী পক্ষের আইনজীবী জাহের উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
জামিন পাওয়া আসামি হলো, হাতিয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মো. খোকনের ছেলে মো. জিহাদ উদ্দিন (২২)।
বাদী পক্ষের আইনজীবী জাহের উদ্দিন জানান, বিশ্বকাপ ফুটবল ফাইনাল খেলাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় চৌমুহনী বাজারে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। পরে এ ঘটনায় গত ৪ ডিসেম্বর জিহাদকে এক নম্বর আসামি করে তিনজনের নাম উল্লেখ করে হাতিয়া থানায় একটি মামলা হয়। এ মামলায় জিহাদ বুধবার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহান্মদ আনোয়ার হোসেনের আদালতে হাজির হয়ে জামিন চান। পরে আদালত প্রথমে তার জামিন নামঞ্জুর করে। এ সময় তার মায়ের আর্তনাদে মানবিক দিক বিবেচনা করে জামিন দেন।
হাতিয়া আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাজ্জাদ হোসেন জানান, আইন তো মানুষের জন্য করা হয়েছে। মায়ের চিৎকার শুনে আদালতের মধ্যে সবার মাঝে মানবিকতা কাজ করেছে। বিচারকের এই রায় দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।