চীনকে করোনার আসল তথ্য দিতে বলেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
বর্তমান করোনার আসল পরিস্থিতি বুঝতে অবিলম্বে চীন থেকে তথ্য পাওয়া জরুরি। ওমিক্রনের উপপ্রজাতি বিএফ.৭ সংক্রমণে রোগের মধ্যে কী বৈচিত্র এসেছে, উপসর্গ কেমন, কত জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হচ্ছে, এ ধরনের তথ্য বিস্তারিতভাবে জানা দরকার। বললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু) প্রধান টেড্রস আধানোম গেব্রেয়াস।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এদিকে গত কয়েক সপ্তাহে করোনা সংক্রান্ত বেশ কিছু নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে চীন। তবে দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। আবার বেশ কিছু দেশ চীন থেকে আসা যাত্রীদের জন্য করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তারা বলছেন, চীনের হাসপাতালে করোনা নিয়ে ভর্তি ও মৃত্যুর বিষয়ে আরও তথ্য চান তারা।
ইতিমধ্যে বেশ কয়েকটি দেশ চীনের করোনার সংক্রমণ রোধে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। এমনকি চীন থেকে আসা যাত্রীদের জন্য করোনা পরীক্ষা বাধ্যতামূলক করেছে বেশ কিছু দেশ। এর মধ্যে রয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, স্পেন, ফ্রান্স, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত, ইতালি, জাপান এবং তাইওয়ান।
অপরদিকে চীন থেকে ইংল্যান্ডে আসা যাত্রীদের ফ্লাইটে ওঠার আগে করোনা পরীক্ষা করে নেগেটিভ সার্টিফিকেট নিতে হবে।
এ বিষয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বলেন, নিষেধাজ্ঞা জারি করাই স্বাভাবিক। চীন থেকে পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যাচ্ছে না। বিশ্বের একাধিক দেশ যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তা নিজেদের জনগোষ্ঠীকে সুরক্ষিত রাখতেই নিচ্ছে।
এদিকে নভেম্বরে চীনে সরকারি ব্যবস্থাপনা ও কড়াকড়ির বিরুদ্ধে বিক্ষোভের পর আকস্মিকভাবে দেশটি থেকে অনেক বিধিনিষেধ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়। বিদেশফেরত ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের বিধি বাতিলের ঘোষণা দেয় চীন। তারপর থেকেই দেশটিতে করোনার সংক্রমণ বাড়তে দেখা গেছে।
এর আগে চীন কঠোরভাবে ‘জিরো কোভিড নীতি’ অনুসরণ করা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল।
এদিকে সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার করোনা আক্রান্তের খবর দিচ্ছে চীন সরকার। আর এর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে।
কিন্তু বিশ্লেষকরা দাবি করছেন, চীনের আসল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি হবে। দৈনিক আক্রান্ত প্রায় ১০ লাখের কাছাকাছি হতে পারে।
অপরদিকে ডিসেম্বরে করোনায় ১৩ জনের মৃত্যুর খবর দিয়েছে চীন সরকার। তবে বৃহস্পতিবার যুক্তরাজ্যভিত্তিক স্বাস্থ্য তথ্য সংস্থা এয়ারফিনিটি বলছে, চীনে প্রতিদিন প্রায় ৯ হাজার মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।