জামায়াত নেতাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে
'পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় কঠোর হাতে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। গতকালের ঘটনায় জড়িত জামায়াত নেতাদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।' বললেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজারবাগে কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে গতকাল মৌচাক-মালিবাগে জামায়াতের হামলায় আহত পুলিশ সদস্যদের চিকিৎসার খোঁজ খবর নেয়া শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, অবৈধভাবে নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা পুলিশের ওপর লাঠিসোঁটা নিয়ে আক্রমণ করে। এতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ পুলিশের ১১ সদস্য আহত হয়েছে। পরে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘আমরা অতীত ইতিহাস থেকে দেখেছি বগুড়ায় চাঁদে সাঈদীকে দেখা গেছে বলে পুলিশ সদস্যদের হত্যা করেছে। গাইবান্ধায় দেখেছি, ফাঁড়িতে আগুন দিয়ে জীবন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে। তারা অতীতে সন্ত্রাসী কার্যক্রম চালিয়েছে। আবারও তারা গতকালের ঘটনায় তারা অতীত ইতিহাসের অপকর্মের বহিঃপ্রকাশ ঘটিয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জামায়াতের অতীত ইতিহাস ফিরে আসুক, এটা আমরা কোনোভাবেই মেনে নেবো না। কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমাদের পুলিশ প্রস্তুত ছিল। তারা প্রথমে বায়তুল মোকাররম থেকে মিছিল বের করার তথ্য প্রচার করেছে, সেখানে আমাদের পুলিশ ছিল। মিছিল বের করার চেষ্টা করা হয়েছিল। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশের বাধায় মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এরপর তারা মৌচাক-মালিবাগ এলাকায় মিছিল বের করে। যেহেতু আপনারা জানেন ওই এলাকা তিন থানার মোড়, ফলে প্রত্যেক থানা নিজ নিজ এলাকায় প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু এই সুযোগে বিচ্ছিন্নভাবে একত্রিত হয়ে মিছিল বের করে। মৌচাকে পুলিশ তাদের বাধা দেয়ায় সংঘর্ষ হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনায় মামলা দায়ের হয়েছে। গতকাল রাত থেকেই অভিযান চলছে। আমাদের এই অভিযান চলমান থাকবে।’