আর্কাইভ থেকে জাতীয়

‘পুলিশের কথা শুনলে মানুষ ভয় পেতো’

আগে মানুষ পুলিশের কথা শুনলে ভয় পেতো। এখন জানে পুলিশ সেবা দেয়, তাদের পাশে দাঁড়ায়। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করে বাংলাদেশ পুলিশ জনগণের আস্থা অর্জন করেছে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ সপ্তাহ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশ সব সময় মানুষের পাশে আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের পাশাপাশি মনুষ্যসৃষ্ট দুর্যোগেও পাশে থাকে তারা। ২০১৩-১৪-১৫ তে অগ্নিসন্ত্রাসের সময় পুলিশও রেহাই পায়নি। ২৯ জন পুলিশ সদস্য এ সময় মৃত্যুবরণ করেন।

‘তাদের খুব নির্দয়ভাবে হত্যা করেছে বিএনপি-জামায়াত। এভাবে প্রকাশ্য দিবালোকে পুলিশ হত্যার ঘটনা এ দেশে আগে ঘটেনি। পুলিশ সদস্যরা জীবন বাজি রেখে এসব রুখে দিয়ে মানুষের জানমাল রক্ষা করেছেন। এ ধরনের জঘন্য ঘটনা যেন আর না ঘটে।’

শেখ হাসিনা বলেন, সরকার পুলিশের আধুনিকায়নের পাশাপাশি পুলিশের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়েছে।

এর আগে পুলিশ সপ্তাহ-২০২৩ এর উদ্বোধন করেন বঙ্গবন্ধুকন্যা। পরে বার্ষিক পুলিশ প্যারেড পরিদর্শন ও অভিবাদন গ্রহণ করেন।

এবারের বার্ষিক পুলিশ প্যারেডে অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দেন খুলনা রেঞ্জের পুলিশ সুপার কাজী মইন উদ্দিন। তার নেতৃত্বে বিভিন্ন কন্টিনজেন্টের পুলিশ সদস্যরা প্যারেডে অংশ নেন।

২০২২ সালে বীরত্বপূর্ণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ১৫ জন পুলিশ ও ২ র‌্যাব সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)’, ২৫ জনকে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)’ দেয়া হয়।

গুরুত্বপূর্ণ মামলার রহস্য উদঘাটন, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, দক্ষতা, কর্তব্যনিষ্ঠা, সততা ও শৃঙ্খলামূলক আচরণের মাধ্যমে প্রশংসনীয় অবদানের জন্য ২৫ জন পুলিশ সদস্যকে ‘বাংলাদেশ পুলিশ পদক (বিপিএম)-সেবা’ এবং ৫০ জনের হাতে ‘রাষ্ট্রপতির পুলিশ পদক (পিপিএম)-সেবা’ তুলে দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী পুলিশের ১১৭ সদস্যকে এই পদক পরিয়ে দেন।

পদক প্রাপ্তদের নাম দেখতে এখানে ক্লিক করুন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন