আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

ইঁদুরের উপদ্রবে বন্ধ করে দেয়া হলো জেলখানা

অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসে ইঁদুরের উপদ্রবে কর্তৃপক্ষ একটি জেলখানা সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। ইঁদুরের উৎপাত এতটাই বেড়েছে যে, কর্তৃপক্ষ জেলখানা সংস্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এতে জেলখানার ৪০০ বন্দী ও ২০০ কর্মচারীকে অন্যত্র সরিয়ে নিতে হচ্ছে। সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।

মঙ্গলবার কারেক্টিভ সার্ভিসেস এনএসডব্লিউ কমিশনার পিটার সেভেরিন বলেন, ইুঁদরের বিরুদ্ধে এ যুদ্ধে বন্দীদের অন্য জেলখানায় স্থানান্তর করা হবে। কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অন্যত্র বদলি করা হবে। তিনি আরও বলেন, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বন্দীদের স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তার বিষয়টি সবার আগে। সে কারণে এখনই আমাদের সংস্কারের কাজ চালাতে হবে। ভবিষ্যতে যেনো এ ধরনের সমস্যায় না পড়তে হয় সে ব্যাপারেও আমাদের খেয়াল রাখতে হবে। 

ইঁদুর জেলখানার অবকাঠামোর ব্যাপক ক্ষতি করেছে। এরমধ্যে অভ্যন্তরীণ অনেক তার কেটে ফেলার পাশাপাশি সিলিং প্যানেলেরও বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। শতকের পর শতক ধরে ইঁদুরের উপদ্রবে ভুগতে থাকা অস্ট্রেলিয়ার নিউ সাউথ ওয়েলস সাম্প্রতিক দশকগুলোর মধ্যে এবার সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতির মুখে পড়েছে।

অস্ট্রেলিয়ার দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চলে শস্যের ব্যাপক ফলনের সঙ্গে ইঁদুরের প্রজননও বেড়েছে। কয়েক মাস ধরে ওই অঞ্চলে ইঁদুরের পাল ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে আসছে। ওই অঞ্চলের কৃষি খামারগুলোতেও ইঁদুরের উৎপাত চরম আকার নিয়েছে।

কারেক্টিভ সার্ভিস নিউ সাউথ ওয়েলসের কমিশনার পিটার সেভেরিন বলেন, তাদের জেলখানার ক্ষতি এতটাই বেশি হয়েছে যে তা কিছুদিনের জন্য খালি করে ফেলাই ভালো। তিনি আরও বলেন, ‘ইঁদুর কমা শুরু হলে পরবর্তী সমস্যা হিসেবে দেখা দেবে পরজীবী কীট। আমাদের কর্মী ও বন্দীদের এমন কিছুর সামনে দিতে পারি না, যা তাদের স্বাস্থ্যর ক্ষতি করতে পারে।’

স্থানীয় গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, ২০২০ সালে ফসল কাটার মৌসুম বসন্তে ইঁদুরের উৎপাত শুরু হয়। এর কারণ হিসেবে ইঁদুরের প্রজননের জন্য অনুকূল আবহাওয়ার পাশাপাশি ব্যাপক ফসল উৎপাদনকে চিহ্নিত করা হয়। বলা হচ্ছে, ইঁদুরের জন্য যথেষ্ট খাবার থাকা এবং গত খরার মৌসুমে শিকারি পশু–পাখির মৃত্যুর কারণে ইঁদুর বেড়ে গেছে।

বিশেষজ্ঞদের বরাতে অস্ট্রেলিয়ার এবিসি নিউজ বলেছে, রাজ্যগুলোতে লাখ লাখ ইঁদুর ছুটে বেড়াতে পারে। নিউ সাউথ ওয়েলসের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে স্কুল, হাসপাতাল, সুপারমার্কেট, ঘরবাড়ি সবখানেই ইঁদুরের উৎপাত তীব্র হয়ে উঠেছে।

এএ

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন