আর্কাইভ থেকে আওয়ামী লীগ

মদপানে ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু, সংগঠনের দাবি সড়ক দুর্ঘটনা

ফরিদপুর জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি মো. রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিব (২৭) অ্যালকোহলজনিত বিষক্রিয়ায় মারা গেছেন। তবে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ দাবি করেছে তার মৃত্যু হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায়।

আজ মঙ্গলবার (৩ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় বোয়ালমারী খরসুতী ঈদগা কবরস্থানে রাকিবের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে সোমবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউ ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগ কোনো প্রেসবিজ্ঞপ্তি না দিলেও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ একই দিন রাতে শোক প্রকাশ করে একটি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন।

নিহত রাকিবুল ইসলাম ওরফে রাকিব জেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি। গত বছর ৯ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ এ জেলা কমিটি অনুমোদন দেয় কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। রাকিবুল ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার ময়না ইউনিয়নের বেলজানী গ্রামের বাসিন্দা। তার বাবা শরিফুল ইসলাম অবসরপ্রাপ্ত একজন পুলিশ সদস্য।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালি আসিফের যৌথ স্বাক্ষরিত ওই শোক বার্তায় দাবি করে বলা হয়, ‘বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ফরিদপুর জেলা শাখার সহসভাপতি রাকিবুল ইসলাম সোমবার বিকেল আনুমানিক ৩টা ৩০ মিনিটে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। তার মৃত্যুতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ পরিবার গভীরভাবে শোকাহত। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ রাকিবুল ইসলামের বিদেহী আত্মার শান্তিকামনা এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা প্রকাশ করছে।’

এদিকে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সম্পাদকের এ শোক বার্তার পর বিষয়টি নিয়ে অনুসন্ধান শুরু করে ফরিদপুরের সাংবাদিক ও বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার ব্যক্তিরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাকিবকে গত সোমবার সকাল ৯টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার বন্ধু পরিচয়ে আবির নামে এক তরুণ এসে ভর্তি করায়। ভর্তির জায়গায় ‘পুলিশ কেস’ সিল মারা ছিল।

ভর্তি করতে এসে আবির জানায়, বমির প্রবণতা থাকায় তাকে ভর্তি করা হয়েছে। ওই হাসপাতালের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী এক নারী জানায় ভর্তি হওয়ার সময় রাকিবুল আরিফকে বলেছিল, ‘মদের সঙ্গে কি খাওয়ালি আমার বুক ও গলা জ্বলে যাচ্ছে’। এরপর আবিরের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। হাসপাতালে আবিরের যে মুঠোফোন নম্বরটি দেওয়া হয়, তাতে ফোন করে বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে বোয়ালমারি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মাদ আবদুল ওহাব বলেন, ঘটনাস্থল ফরিদপুরে হওয়ায় এই বিষয়ে সকল আইনগত পদক্ষেপ কোতোয়ালি থানা নেবে। এই মৃত্যু সম্পর্কে তাদের কাছে কোনো তথ্য নেই

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন