আর্কাইভ থেকে আইন-বিচার

বান্ধবী বুশরার জামিন শুনানি শেষ, আদেশ পরে

বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন নূর পরশ (২৪) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলায় গ্রেপ্তার তার বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরার জামিন শুনানি শেষ হয়েছে। আদালত এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন।

বৃহস্পতিবার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ তেহেসিন ইফতেখারের আদালতে এ শুনানি হয়।

এর আগে গেলো ৩০ নভেম্বর বুশরার আইনজীবী ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতে বুশরার জামিনের আবেদন করলে আদালত শুনানির জন্য আজ দিন ধার্য করেন।

এর আগে ফারদিনকে খুন করা হয়েছে দাবি করে রামপুরা থানায় দায়ের করা মামলায় ‘হত্যা করে লাশ গুম’ করার অভিযোগ আনেন ফারদিনের বাবা নূর উদ্দিন। সেই মামলায় এক নম্বর আসামি করা হয় ফারদিনের বান্ধবী আমাতুল্লাহ বুশরাকে। ১০ নভেম্বর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৫ দিন রিমান্ডের পর এখন তিনি কারাগারে আছেন।

পরে, মামলার তদন্তভার ডিবি পুলিশের ওপর ন্যস্ত করা হয়। এরপর মাদক সংশ্লিষ্টতা, মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে খুন, কিশোর গ্যাংয়ের সংশ্লিষ্টতার বিষয় সামনে আসে। সর্বশেষ তদন্ত সংশ্লিষ্ট ডিবি পুলিশ ও র‌্যাব তদন্ত অগ্রগতি নিয়ে এক ধরনের সমঝোতায় পৌঁছে জানায়, স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ বা আত্মহত্যা করেছেন ফারদিন। ডিবি পুলিশ জানায়, ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় জেলে থাকা বুশরা নির্দোষ।

উল্লেখ্য, গেলো ১৫ ডিসেম্বর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান হারুন অর রশিদ জানিয়েছিলেন, ফারদিন হত্যা মামলায় বান্ধবী বুশরার সংশ্লিষ্টতা নেই। তিনি আরও জানান, বান্ধবী বুশরাকে বাদ দিয়ে দ্রুত মামলার অভিযোগপত্র দেয়া হবে। তবে বাকিটা আদালতের সিদ্ধান্ত।

অবশ্য শুরু থেকেই বুশরার পরিবার বলে আসছে, ফারদিনের মৃত্যুর ঘটনায় তার কোনো হাত নেই। সন্দেহের বশে বুশরাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এতে তার জীবন বিপর্যস্ত। শিক্ষাজীবনেও নেমে এসেছে অনিশ্চয়তা।

আর গত ১৬ ডিসেম্বর বুশরার বাবা মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, তার নির্দোষ মেয়েটা ফেঁসে গেল। ফারদিনের মৃত্যুতে তার মেয়ের কোনো সংশ্নিষ্টতা নেই। অহেতুক তাকে দীর্ঘদিন কারাগারে কাটাতে হচ্ছে। তাই অতি দ্রুত বুশরার মুক্তি চান তার বাবা।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন