আর্কাইভ থেকে আবহাওয়া

তেঁতুলিয়ায় ৭ ডিগ্রিতে নামল তাপমাত্রা

হিমালয়কন্যা পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নামল ৭ ডিগ্রিতে। এর মধ্যে চলছে শৈত্যপ্রবাহ। টানা তিনদিন মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পর ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি তাপমাত্রা কমে তা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে রূপ নিয়েছে।

সোমবার (৯ জানুয়ারি) তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২৪ ঘণ্টা পূর্বাভাসে এ তথ্য জানা যায়।

এ দিন ভোর ৬টায় রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। টানা তিনদিন প্রায় সাড়ে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ডের পর ৭ ডিগ্রি তাপমাত্রায় মাঝারি শৈত্যপ্রবাহের দাপটে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে পুরো জেলা।

জেলার আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ বইছে। শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত তাপমাত্রা ৯.৬, ৯.৫ ও ৯.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছিল। যা গতকালের (রোববার) ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস থেকে ২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে আজ ৭ ডিগ্রিতে পৌঁছেছে। যা মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ।

এর আগে, জেলায় ২০১৮ সালের জানুয়ারিতে স্মরণকালের সবচেয়ে কম ২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছিল।

ভোর থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা থাকছে পুরো জেলা। বেলা বাড়লেও কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের মুখ দেখা গেলেও মেলে না রোদের উষ্ণতা। বিকেল গড়ালেই হিমেল হাওয়া বাড়তে থাকে। সন্ধ্যার পর থেকেই বাড়তে থাকে শীতের তীব্রতা।

এদিকে শীতে প্রকোপে বেড়েছে নানান শীতজনিত রোগ। জ্বর, সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়াসহ ঠান্ডাজনিত রোগ নিয়ে হাসপাতালগুলোতে ভর্তি হচ্ছেন রোগীরা। উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত শতাধিক রোগী চিকিৎসা নিতে আসছেন। এদের মধ্যে বেশিরভাগই শিশু।

চিকিৎসকরা বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে রোগীর চাপ বেড়েছে। এমনিতে শীত মৌসুমে আবহাওয়া শুষ্ক থাকায় বাতাসে জীবাণুর পরিমাণ বেড়ে যায়। শীতজনিত রোগ হিসেবে সর্দি-কাশি, শ্বাসকষ্ট বেশি হয়ে থাকে। আর শিশু ও বয়োজ্যেষ্ঠরা শীতজনিত রোগে বেশি আক্রান্ত হয়। তাই এ সময়টাতে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারলে কিছুটা হলেও সুরক্ষা মিলবে।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন