আর্কাইভ থেকে আওয়ামী লীগ

ডোপ টেস্টে পজিটিভ হলে সরকারি চাকরি হবে না

সরকারি চাকরিতে যেতে হলে প্রত্যেককে ডোপ টেস্টের আওতায় আসতে হবে। এতে কেউ পজিটিভ হলে তিনি সরকারি চাকরি পাবেন না। এ ধরনের একটি কার্যক্রম দ্রুতই শুরু হতে যাচ্ছে। বললেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।

আজ শুক্রবার (২৫ জুন) দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে মাদকদ্রব্য ও নেশা নিরোধ সংস্থা ‘মানস’ এর অনুষ্ঠিত এক সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।

এসময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ‘শুধু সরকারি চাকরিতে নয়, যারা সরকারি চাকরি করছেন তাদেরকেও ডোপ টেস্টের আওতায় আনা হচ্ছে। বিশেষ করে নিরাপত্তা বাহিনীতে যারা আছেন তাদেরকে ইতোমধ্যে ডোপ টেস্টের আওতায় আনা হয়েছে। টেস্টে যারা পজিটিভ হচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘মাদকের বিস্তৃতি যাতে না ঘটে এবং যুব সমাজ যাতে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে সেজন্য আমরা কাজ করে যাচ্ছি। নতুন প্রজন্মের মেধাকে আমরা কাজে লাগাতে পারি সেজন্য মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর মোরাল এজেন্সি হিসেবে কাজ করছে, পাশাপাশি আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী তাদেরকে সহযোগিতা করে যাচ্ছে।’

আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘তরুণ প্রজন্মের মেধাকে ধরে রাখতে না পারলে আমরা ২০৩০ ও ২০৪০ সালের যে স্বপ্ন দেখছি তা বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই আমাদের আইনকে আরও সমৃদ্ধ করেছি। মাদক নিয়ন্ত্রণ অধিদফতরকে আরও শক্তিশালী করা হয়েছে। পাশাপাশি মাদক যাতে দেশে না আসে সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনীকেও শক্তিশালী করা হয়েছে।’

‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সন্ত্রাস জঙ্গিবাদ নির্মূলে জিরো টলারেন্সের ঘোষণা দিয়েছিলেন তেমনই মাদক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রেও তিনি জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করতে বলেছেন। আমরা তার নির্দেশনা মথায় রেখে কাজটি করছি। যেকোনো মূল্যে আমরা দেশ থেকে মাদক নিয়ন্ত্রণ করব,’ যোগ করেন মন্ত্রী।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘নাফ নদী দিয়ে ইয়াবা নামের ভয়ঙ্কর মাদক প্রবেশ করে, সেখানেও আমাদের নজরদারি রয়েছে। বিদেশি এজেন্সিগুলো আমাদের যেগুলো গোয়েন্দা রিপোর্ট দিচ্ছে আমরা সেই অনুযায়ী কাজ করে যাচ্ছি।’

‘বিভাগীয় হাসপাতাল ও প্রতিটি জেলা হাসপাতালে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের স্পেশাল বেডের ব্যবস্থা করছি। পাশাপাশি এই মুহূর্তে ৩৬০টি বেসরকারি হাসপাতালে মাদক নিরাময় কেন্দ্রের ব্যবস্থা করে যাচ্ছে। তারা যাতে আরও উন্নতমানের সেবা চালিয়ে যেতে পারে সেজন্য তাদেরকে সরকারি অনুদান দেয়া হয়েছে।’

সমাজ থেকে ভয়ঙ্কর মাদক দূর করতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান মন্ত্রী।

সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন মানসের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও জাতীয় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ উপদেষ্টা কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. অরূপ রতন চৌধুরী।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মানসের সাধারণ সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মতিউর রহমান তালুকদার, কোষাধ্যক্ষ হোসনে আরা রীনা প্রমুখ।

শেখ সোহান

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন