সদ্য বিবাহিত শ্যালিকাকে নিয়ে উধাও দুলাভাই
খুলনার পাইকগাছায় বিয়ের এক মাস যেতে না যেতেই দুলাভাইয়ের সঙ্গে শ্যালিকা পালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। দীর্ঘদিন তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল বলেও জানান ভুক্তভোগী শ্যালিকার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অন্যদিকে দুলাভাইয়ের দাবি, তিনি তার শ্যালিকাকে নিয়ে যাননি। তিনি তার নিজ বাড়িতেই অবস্থান করছেন। ভুক্তভোগী শ্যালিকার শ্বশুরবাড়ির লোকজন জানান, সাতক্ষীরার আশাশুনি উপজেলার খড়িয়াটি গ্রামের লুৎফর রহমানের ছোট মেয়ে আয়েশা। গত বছরের ৮ ডিসেম্বর সোহেল রানার সঙ্গে তার বিয়ে হয়। তিনি পাইকগাছার বৃত্তি গোপালপুর গ্রামের হাকিম গাজীর ছেলে। ওই মেয়ের সঙ্গে তার দুলাভাইয়ের দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্ক ছিল। অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী আয়েশার শ্বশুরবাড়ির লোকজন। অভিযুক্ত আরিফুলের বাড়ি পাইকগাছার বাঁকা গ্রামে।
তার শ্বশরবাড়ির লোকজন আরও বলেন, প্রেমের টানে ১০ জানুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে সোহেল রানার বাড়ি থেকে শ্যালিকাকে নিয়ে ভেগেছেন অভিযুক্ত দুলাভাই। বিভিন্ন জায়গায় খুঁজে না পেয়ে শ্বশুর আবদুল হাকিম গাজী বাদী হয়ে শনিবার পাইকগাছা থানায় অভিযোগ করেছেন।
আয়েশার শাশুড়ি হাসিনা বেগম বলেন, আমার বউমার সঙ্গে তার দুলাভাই আরিফুল ইসলামের দীর্ঘদিন ধরে প্রেম আছে। এ নিয়ে কয়েকবার স্থানীয়ভাবে সালিশবৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনোভাবেই তাদের সম্পর্ক ছিন্ন করা যায়নি।
আয়েশার স্বামী সোহেল রানার দাবি, বিয়ের এক মাস যেতে না যেতেই আমার টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে সে দুলাভাইয়ের সঙ্গে চলে গেছে। তাদের এখনো সন্ধান পাওয়া যায়নি।
অভিযোগের বিষয়ে দুলাভাই আরিফুল বলেন, আমি আমার বাড়িতেই আছি। আমার সঙ্গে আয়েশার কোনো যোগাযোগ হয়নি। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে পাইকগাছা থানার ওসি জিয়াউর রহমান জানান, ঘটনাটি জেনেছি। প্রাথমিকভাবে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে।