বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধিতে শঙ্কায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা
বছরের শুরুতেই গ্রাহকের কাঁধে বিদ্যুতের দামের অতিরিক্ত চাপ। ইউনিট প্রতি গড়ে ৫ শতাংশ মূল্যবৃদ্ধিতে বিপাকে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। আগামীতে পণ্যমূল্য বৃদ্ধি ও ক্রেতা হারানোর শঙ্কায় অধিকাংশ ব্যবসায়ী।
একযুগ ধরে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে আলোকসজ্জা ও বৈদ্যুতিক পণ্য সামগ্রীর ব্যবসা সাব্বির আহমেদের। সময়ের পালা বদলে বেড়েছে ব্যবসায়ের পরিধি। আলোকসজ্জার দোকান হওয়ায় অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বিদ্যুতের ব্যবহার খানিকটা বেশি করতে হয় তাকে। প্রতি মাসেই গুণতে হয় মোটা অংকের বিদ্যুৎ বিল। এর মধ্যে নতুন করে ভাবাচ্ছে বিদ্যুতের নতুন মূল্যহার।
সাব্বির আহমেদ বলেন, আমাদের বিদ্যুৎ বিল আগে যা ছিল তার থেকে ৩০ শতাংশ বেশি আসবে। এতে করে আমাদের লাভের পরিমাণ কমে যাবে। সীমিত হয়ে যাবে, বিক্রি কমে যাবে। গ্রাহকেরও কিছু চাহিদা থাকে, প্রোডাক্টের চাহিদা থাকে। রেটের ব্যাপার থাকে। এটার ওপর রেট আমাদের বহন করতে হবে।
একই অবস্থা কারওয়াশ ব্যবসায় জড়িত রাসেলের। জানালেন, বিদ্যুৎচালিত যন্ত্রের কারণে বাড়ছে খরচ। ফলে নির্ধারণ করতে হচ্ছে সেবার নতুন মূল্যহার। এনিয়ে প্রতিদিনই জড়াতে হচ্ছে বাক-বিতণ্ডায়।
রাসেল বলেন, বিদ্যুতের বিল বাড়ার কারণে আমাদেরকে এখন কাস্টমারদের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক করতে হয়। কারণ হঠাৎ করে বিদ্যুতের দাম বেড়ে গেছে আমাদেরও পোষাতে হবে।
গেল ১৩ বছরে গ্রাহক পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বেড়েছে দিগুণের বেশি। সব শেষ চলতি মাসে ইউনিটপ্রতি গড়ে ৩৬ পয়সা বাড়ানোর ঘোষণা দেয় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়।
চলমান পরিস্থিতিতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির এই সিদ্ধান্তে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়বে বলে অভিমত দোকান মালিক সমিতির। আর প্রতি মাসে দাম সমন্বয় হলে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নিতে বাধ্য হবে বলে মনে করেন এই ব্যবসায়ী নেতা।
বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের অনেকে কর্মচারী ছাটাই করা শুরু করেছে। অনেকে ব্যবসা ছেড়ে দিয়েছেন। বিশেষ করে ক্ষুদ্র এবং অতি ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা ব্যবসা ছেড়ে একেবারে বেকার অবস্থায় আছেন। যখন প্রয়োজন হবে সরকার সমন্বয় করবে কিন্তু আমরা অতীতে কখনো সমন্বয় দেখিনি। যখন যেটার দাম বেড়েছে সেটা কখনো কমতে দেখিনি।