আর্কাইভ থেকে আন্তর্জাতিক

বিক্ষোভে জ্বলছে পেরু, নিহত ৪২

পেরুতে প্রেসিডেন্ট দিনা বোলার্তের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ-আন্দোলনে ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৪২ জনের। আজ জরুরী অবস্থা জারি হয়েছে রাজধানী লিমা-সহ পেরুর একাধিক শহরে। আগামী ৩০ দিনের জন্য এই নির্দেশিকা জারি হয়েছে। সাধারণ মানুষের গতিবিধি, এক জায়গায় জমায়েত হওয়া, নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে বহু কিছুতেই।

সোমবার (১৬ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দুর এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানান যায়।

ডিসেম্বর মাসের গোড়ায় প্রথম সরকারি-বিরোধী গণআন্দোলন শুরু হয়। এই সময়ে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট পেদ্রো কাসতিলোকে গদিচ্যুৎ হতে হয়। তার এখন হেফাজতে বিচার চলছে। বর্তমানে দেশ জুড়ে চলা সরকারি-বিরোধী বিদ্রোহেও তার নাম জড়িয়েছে। কাসতিলোর সমর্থকদের দাবি, নতুন করে ভোট করা হোক এবং বর্তমান প্রেসিডেন্ট দিনা বোলার্তেকে সরানো হোক। বোলার্তে একই বাম-দলের সদস্যা।

৬০ বছর বয়সি প্রবীণা জানান, তিনি পদত্যাগ করবেন না। শুক্রবার একটি সাক্ষাৎকারে বোলার্তে বলেন, ‘কিছু হিংস্র, মৌলবাদী মানুষ আমার ইস্তফা চাইছেন। সাধারণ মানুষকে খেপিয়ে তুলছেন। দেশ জুড়ে বিশৃঙ্খলা ও ধ্বংস। কিন্তু আমি পদত্যাগ করবনা। পেরুর প্রতি আমার অনেক দায়বদ্ধতা রয়েছে।’

প্রেসিডেন্ট জানান, বিক্ষোভ এতটাই হিংস্র হয়ে উঠেছে যে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে ৪২ জনের মৃত্যু হয়। এক পুলিশ আধিকারিক গাড়ির ভিতরে জীবন্ত পুড়ে মারা গেছেন। কয়েকশো মানুষ জখম।

তিনি জানান, ‘এ ভাবে পেরুর এত মানুষের মৃত্যু, হতাশ লাগছে। এই পরিস্থিতির জন্য আমি ক্ষমা চাইছি।’

বোলার্তে জানান, বিক্ষোভকারীদের দাবি মেনে গণপরিষদ গঠন করা হবে না। তার বক্তব্য, নতুন করে সংবিধান তৈরি করতে গিয়ে প্রতিবেশী দেশ চিলি বহু বাধা-বিঘ্নের সম্মুখীন হয়েছিল। তারা তা চান না।

উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক কালে পেরুর রাজনৈতিক পরিস্থিতি বেশ টালমাটাল। গত পাঁচ বছরে বোলার্তে ষষ্ঠ প্রেসিডেন্ট। আগের প্রেসিডেন্ট বিচারাধীন।

 

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন