আইএমএফ নয়, ব্যবসায়ীদের পরামর্শে গ্যাসের নতুন দাম: বাণিজ্যমন্ত্রী
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত নয়, ব্যবসায়ীদের চাওয়ার পরিপ্রেক্ষিতেই গ্যাসের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ব্যবসায়ীদের বৈঠক হবে। এর পরেই নতুন সিদ্ধান্ত আসতে পারে। বললেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।
শুক্রবার (২০ জানুয়ারি) সকালে কটন সামিট শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি। গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে ব্যবসায়ীদের পরামর্শেই। গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পরও উৎপাদন এবং মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ পড়বে না বলেও মনে করেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধির রেশ কাটতে না কাটতেই গ্যাসের দাম বাড়িয়েছে সরকার। মূল্য সমন্বয় নিয়ন্ত্রণকারী প্রতিষ্ঠান বিইআরসিকে পাশ কাটিয়ে সরকারের নির্বাহী আদেশে দুই থেকে ৩ দাম গুণ বাড়ানো হয়েছে শিল্প ও বাণিজ্যিক কাজে ব্যবহৃত গ্যাসের দাম। গ্যাসের এই দাম বৃদ্ধি পুরো শিল্পখাতকে সংকটে ফেলবে বলে আশঙ্কা করছে উদ্যোক্তারা।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশির দাবি, গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়েছে ব্যবসায়ীদের পরামর্শেই। যদি নিরবিচ্ছিন্ন সরবরাহ নিশ্চিত করা যায় তবে দাম বাড়লেও তাদের জন্য সহনীয় থাকবে। চেষ্টা করা হচ্ছে যেন, সাপ্লাই চেইনটা ঠিক থাকে। সরকার একটি দাম প্রস্তাব করেছে। আগামীকাল এফবিসিসিআইয়ের সভাপতিসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলাপ করবেন।
বাণিজ্যমন্ত্রী মনে করেন, গ্যাসের দাম বৃদ্ধির পরও উৎপাদন এবং মূল্যস্ফীতির ওপর চাপ পড়বে না। প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হবে না বলেও আমরা বিশ্বাস করি। তবে পুরো ব্যাপারটা নিয়ে বৈঠকের পরই সম্পূর্ণ চিত্রটি বোঝা যাবে। মূল্যস্ফীতির উপর এর প্রভাব পড়বে বলে মনে করি না।
বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, ভর্তুকি কমাতে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থার পরামর্শ থাকলেও গ্যাসের দাম বৃদ্ধিতে আইএমএফ’র চাপ নেই। সাধারণ মানুষের ওপর চাপ কমাতেই এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। শুধু আইএমএফ বলেই নয়, অন্যান্য সংস্থাও আমাদের বলেছে যে, তোমরা ভর্তুকি দিয়ে যাচ্ছো। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চাপটা পড়ছে সাধারণ মানুষের উপর। সবদিকেই সমন্বয় করতে হবে আমাদের। রফতানিও দেখতে হবে। সবদিক মিলিয়েই একটা ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা তৈরি করতে হবে যাতে, সবাই মিলে টিকে থাকতে পারি।