আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

পায়ের চোট আর চোখের জলে উইম্বলডন শেষ সেরেনার

এবারের উইম্বলডনটা বিশেষ কিছু ছিল সেরেনা উইলিয়ামসের কাছে। কারণ আর একটা গ্রান্ডস্ল্যাম জিতলেই আপর্শ করবেন মার্গারেট কোর্টের ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের বিশ্বরেকর্ড। তবে প্রথম রাউন্ডেই বাঁ পায়ের গোড়ালি বাজে ভাবে মচকে ছিটকে যেতে হয়েছে ২৩টি গ্র্যান্ডস্ল্যাম জয়ী এই টেনিস তারকাকে। আর সেরেনার ছিটকে যাওয়ায় পরের রাউন্ডে বেলারুশের আলিয়াকজান্দ্রা সাসনোভিচ।
 
মঙ্গলবার (২৯ জুন) প্রথম সেটে ৩–১ গেমে এগিয়ে যাওয়ার পর সেরেনা পিছলে পড়ে আহত হন। চিকিৎসার জন্য কোর্ট ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। এরপর ফিরে এসে দুটি গেম হারেন। ৩-৩ অবস্থায় তিনি ফের পড়ে যান। চেয়ার আম্পায়ার তাকে উঠে দাঁড়াতে সাহায্য করলেও ওই অবস্থায় তার পক্ষে আর খেলা সম্ভব হয়নি। কাঁদতে কাঁদতেই অল ইংল্যান্ড ক্লাবের সেন্টার কোর্ট ছেড়েছেন ৩৯ বছর বয়সি এই টেনিস তারকা।

উইম্বলডনের দ্বিতীয় দিন যেতে না যেতেই সেন্টার কোর্ট নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রথম দুই দিনের বৃষ্টি আর কোর্টের হালকা ঘাস নিয়ে হচ্ছে নানান সমালোচনা। সেরেনার চোট পাওয়ার কয়েক ঘণ্টা আগে রজার ফেদেরারের বিরুদ্ধে চোট পান আদ্রিয়ান মানারিনো। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ৪-৬, ৭-৬ (৭-৩), ৬-৩, ২-৬ অবস্থায় ম্যাচ ছেড়ে দেন মানারিনো। প্রথম রাউন্ডেই ফেদেরারকে পঞ্চম সেটে নিয়ে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত খেলতে পারলে হয়ত উইম্বলডনের ইতিহাসে সবথেকে বড় অঘটনটা ঘটিয়েও ফেলতে পারতেন। 
 
ফেদেরার অবশ্য প্রতিপক্ষের সুস্থতা কামনা করেছেন। ৩৯ বছর বয়সী এই টেনিস তারকা বলেন, 'এটা ভয়ানক ব্যাপার। এই ঘটনা আমাদের দেখিয়েছে একটা শট কীভাবে ম্যাচ, মৌসুম এমনকি ক্যারিয়ারেরও মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। আমি তার সুস্থতা কামনা করি, আশা করি সে খুব তাড়াতাড়িই ফিরতে পারবে। সে আমার চেয়ে ভালো করছিল আজ। সে জিততেও পারত। আমি একটু হলেও ভাগ্যবান।' 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন