পঞ্চগড়ের সূর্যে নেই উত্তাপ
শীত শব্দটার সাথে দেশের উত্তরের জেলাগুলোর নাম চলে আসে প্রথমেই। পঞ্চগড়ে মাঘ মাসের কনকনে শীতে জবুথুবু জনজীবন। শীতের সাথে হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছে এ অঞ্চলেরে দরিদ্র অসহায় ও নিম্ন আয়ের মানুষ। সম্প্রতি জেলার বিভিন্ন স্থানে সূর্যের দেখা মিললেও তাতে নেই তেমন উত্তাপ।
আজ রোববার (২২ জানুয়ারি) জেলার তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সকাল ৯টার দিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময় সমান তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে সিলেটের শ্রীমঙ্গলে। যদিও গেলো কয়েক দিন ধরে তেঁতুলিয়ায় ৯ থেকে ৬ ডিগ্রির ঘরে উঠানামা করছে তাপমাত্রা।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, শীতকালে এ জেলায় তাপমাত্রা উঠানামা করে মূলত হিমালয়ের হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ার কারণে। এখানে প্রতিবছর অন্যান্য জেলার তুলনায় আগেভাগেই শীত অনুভূত হয় এবং বিদায় নেয় দেরিতে। গেলো ১৫ দিন ধরে জেলার উপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। তবে আগামী সপ্তাহে তাপমাত্রা আরও কমে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পেতে পারে।
ঘুরে দেখা গেছে, কোনো কোনো দিন ভোর থেকে সূর্যের আলোর দেখা মিললেও, তাতে থাকছে না তেমন উত্তাপ। কুয়াশার মধ্যে ঝাপসা রোদে তেমন ইতিবাচক প্রভাব পড়ছে না জনজীবনে। এছাড়া সন্ধ্যা হওয়ার সাথে সাথে উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যায় হিম বাতাস, রাত বাড়ার সাথে কুয়াশায় ঢেকে যায় চারপাশ। শিশির বিন্দু পড়ে বৃষ্টির মতো। কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল করে দিনের বেলায়ও।
এদিকে হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, শীতের কারণে জেলায় ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। জেলা সদর হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোতে প্রতিদিনই চিকিৎসা নিচ্ছেন স্থানীয়রা। যাদের অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক মানুষ।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাসেল শাহ বলেন, এ সময়ে পঞ্চগড় জেলায় শীতের তীব্রতা বেশি থাকে। গেলো কয়েকদিন ধরে তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা উঠানামা করছে। আগামী কয়েকদিন তাপমাত্রা আরও কিছুটা হ্রাস পেয়ে শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সম্ভাবনাও রয়েছে।