নরওয়েতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিপ্লব!
নরওয়ের পরিবহন খাতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিপ্লব ঘটেছে। দেশটিতে গত এক বছরে বিক্রি হওয়া ৮০ শতাংশ গাড়িই ছিল ব্যাটারি চালিত, যা বিশ্বের যেকোনো দেশের চেয়ে ব্যতিক্রম। ২০২৫ সাল নাগাদ ডিজেল ও পেট্রোল চালিত গাড়ি বিক্রি বন্ধের উদ্যোগ নিয়েছে নরওয়ে সরকার।
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজের এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।
এতে বলা হয়, গত বছর নরওয়েতে বিক্রি হওয়া প্রতি পাঁচটি গাড়ির চারটিই ব্যাটারি চালিত। বৈদ্যুতিক গাড়িতে বিপুল ভর্তুকি দিচ্ছে দেশটির সরকার। সাশ্রয়ী হওয়ায় নাগরিকরাও লুফে নিচ্ছেন এ সুযোগ।
গত দুই বছরে নরওয়েতে সবচেয়ে বেশি গাড়ি বিক্রি করেছে বৈদ্যুতিক গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠান- টেসলা। প্রতিষ্ঠানটির ওয়াই মডেলের কারের দিকেই ক্রেতাদের আগ্রহ বেশি। আর বিক্রির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভক্সওয়াগেন। তবে ব্যাপক সাড়া মেলায় নীতি কিছুটা পরিবর্তন করতে চায় সরকার। বৈদ্যুতিক গাড়ির বিলাসবহুল মডেলের ওপর শুরু করা হচ্ছে কর আরোপ।
নরওয়ে পরিবহন মন্ত্রণালয় স্টেট সেক্রেটারি জোহান ভাসারা বলেন, আমরা কিছু ব্যয়বহুল গাড়ির ওপর কর আরোপ করছি। কারণ বৈদ্যুতিক গাড়ি এখন আমাদের বহুল ব্যবহৃত গাড়িতে পরিণত হয়েছে। সরকারি তহবিলের যথাযথ ব্যবহারের জন্যই এটা করা হচ্ছে। আমাদের এমন খাতগুলোতে ভর্তুকি দিতে হবে যেখানে সেটি আসলে প্রয়োজন। তাই ভারী যানবাহনে বিদ্যুতায়ন নিশ্চিতের লক্ষ্যে আমরা অর্থ খরচ করবো।
নরওয়েজিয়ান অটোমোবাইল ফেডারেশনের প্রধান থর এগিল ব্রাডল্যান্ড বলেন, নরওয়েতে বৈদ্যুতিক গাড়ির যে নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে তা দুর্দান্তভাবে কাজ করছে। উদার কর ব্যবস্থার কারণে দেশটিতে বর্তমানে পাঁচটি গাড়ির একটিই বৈদ্যুতিক। তবে এখন আমরা কিছুটা উদ্বিগ্ন। সরকার বৈদ্যুতিক গাড়ি উপর আবারও কর বাড়াতে শুরু করেছে। এতে এ ধরনের গাড়ি বিক্রি কমে যাওয়ার শঙ্কা তৈরি হয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০৪০ সাল নাগাদ স্বল্প দূরত্বে শতভাগ ব্যাটারি চালিত বিমান ব্যবহারের লক্ষ্য রয়েছে নরওয়ে সরকারের।