আর্কাইভ থেকে এশিয়া

তুষারে জমে গেছে আফগানিস্তান

প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় জমে গেছে আফগানিস্তান। গত দুই সপ্তাহে দেশটির অনেকাঞ্চলের তাপামাত্রা হিমাঙ্কের নিচে পৌঁছেছে। এতে অন্তত ১২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালেবান কর্মকর্তারা।

বুধবার (২৫ জানুয়ারি) আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম বিবিসির দেয়া এক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা যায়।

আফগানিস্তানের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে প্রতিবেদন জানায়, এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঠাণ্ডা পড়ছে আফগানিস্তানে। শীতে দেশটিতে মারা গেছে কমপক্ষে  ৭০ হাজার গবাদি পশুও।

তালেবান আফগান নারীদের বেসরকারী সংস্থায় কাজ করা নিষিদ্ধ করার পর সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে অনেক সাহায্য সংস্থা কার্যক্রম স্থগিত করেছে।

একজন তালেবান মন্ত্রী বলেছেন, নিহত হওয়া সত্ত্বেও এই আদেশ পরিবর্তন করা হবে না।

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মোল্লা মোহাম্মদ আব্বাস আখুন্দ বলেছেন যে, আফগানিস্তানের অনেক এলাকা এখন তুষারের কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। উদ্ধারের জন্য সামরিক হেলিকপ্টার পাঠানো হয়েছিল, কিন্তু পাহাড়ী অঞ্চলে সেটি অবতরণ করতে পারেনি।

ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী বলেন, আগামী ১০ দিনের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে তাপমাত্রা উষ্ণ হবে। তবে তিনি এখনও আফগান এবং তাদের গবাদি পশু-মৃত্যুর ক্রমবর্ধমান সংখ্যা নিয়ে চিন্তিত।

মোল্লা আখুন্দ বলেন, যারা ঠান্ডায় প্রাণ হারিয়েছেন তাদের বেশিরভাগই রাখাল বা গ্রামীণ এলাকায় বসবাসকারী মানুষ। তারা স্বাস্থ্যসেবার কাছাকাছি ছিলেন না।

তালেবান মন্ত্রী বলেন, আমরা যারা এখনও পার্বত্য অঞ্চলে বসবাস করছেন তাদের নিয়ে উদ্বিগ্ন। পাহাড়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া বেশিরভাগ রাস্তা তুষারপাতের কারণে বন্ধ হয়ে গেছে। গাড়ি আটকে গেছে এবং যাত্রীরা হিমায়িত তাপমাত্রায় মারা গেছে।

আফগানিস্তানে এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ আবহাওয়ার মোকাবেলা করছে। গত মাস থেকে তালেবান সরকারের নির্দেশে আফগান নারীদের সাহায্য সংস্থায় কাজ করা থেকে বিরত রাখা হয়েছে। এরপর দেশটিতে কাজ করা অনেক সংস্থা তাদের ত্রাণ কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে।

তবে মোল্লা আখুন্দ স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন এই আদেশ প্রত্যাহার করা হবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে তিনি জোর দিয়ে বলেন, আফগানিস্তানের ইসলামিক সংস্কৃতিকে মেনে নিতে হবে।

তিনি বলেন, পুরুষরা ইতোমধ্যেই আমাদের সঙ্গে উদ্ধার প্রচেষ্টায় কাজ করছে এবং আমাদের সঙ্গে নারীদের কাজ করার কোনও প্রয়োজন নেই। প্রতিটি পরিবারের পুরুষরা ইতোমধ্যেই ত্রাণ তৎপরতায় অংশ নিচ্ছেন।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন