দিনে ২ কোটি টাকার শুটকি বেচাকেনা
মাচায় ঝুলছে নানা রকম মাছ, আছে রূপচাঁদা, লইট্টা, কোরাল। এই চিত্র পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার কুয়াকাটা মৎস্য বন্দরের। শীত মৌসুমের ৩ মাসে মাছ শিকারের পরিবর্তে শুটকি উৎপাদনে ব্যস্ত সময় কাটে স্থানীয় জেলেদের।
জেলেরা জানান, শুটকি শুকাতে আমাদের একটি স্থায়ী জায়গা প্রয়োজন। এছাড়া শুটকি বিক্রির জন্যও একটা বড় বাজার দারকার।
চাহিদা বিবেচনায় কলাপাড়ার বিভিন্ন জায়গায় গড়ে উঠেছে ৩২টি শুটকিপল্লী। তবে সীমাবদ্ধতাও কম নয়। দীর্ঘদিন সংরক্ষণ উপযোগী এই খাদ্যপণ্য বিক্রির জন্য উপজেলায় নেই কোনো নির্দিষ্ট স্থান বা বাজার। নেই আধুনিক সংরক্ষণ ব্যবস্থাও।
শুটকি বাজারজাতকরণে উৎপাদকদের সহায়তার আশ্বাস স্থানীয় প্রশাসনের। বাজার সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়নে পদক্ষেপ নেয়ার কথা জানালেন কর্মকর্তারা।
পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শঙ্কর চন্দ্র বৈদ্য জানান, আমরা চেষ্টা করছি যারা শুটকি তৈরি করেন তাদের জন্য একটা সুনিদিষ্ট জায়গার। আশা করছি, এটি করতে পারলে শুটকি ব্যবসা আরও প্রসারিত হবে।
পটুয়াখালী জেলা মৎস্য কর্মকর্তা আজহারুল ইসলাম, শুটকি উৎপাদনকারী এ মৎসজীবিদের আধুনিক ও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে শুটকি উৎপাদনে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। এছাড়া এগুলো যাতে ব্যান্ডিং করে বাজার প্রসারিত করা যায় সে ব্যবস্থা করা হচ্ছে। শীত মৌসুমে দৈনিক অন্তত ২ কোটি টাকার বাণিজ্য হয় উপজেলার শুটকিপল্লীগুলোতে।