আর্কাইভ থেকে লাইফস্টাইল

সেরা অভিভাবক হতে...

আপনার ছোট একটি কথা এবং অভ্যাসও বড় প্রভাব ফেলে সন্তানের উপর। তাই অভিভাবকদের উচিত নিজেদের প্রতিটি অভ্যাস ও চলাফেরার দিকে নজর রাখা। আপনি যা করেন তা আপনার সন্তানও শেখে। তাই প্রতিদিন আপনাকে এমন কিছু কাজ করতে হবে যেন আপনার সন্তানও একজন ভালো মানুষ হয়ে ওঠে।

আপনি যদি সেরা অভিভাবক হতে চান, তাহলে ছোট ছোট কিছু অভ্যাস আগে নিজে রপ্ত করে নিন- ​ছোট্ট একটি হাসি সেরা

দিনটি শুরু হোক ছোট্ট একটি হাসি দিয়ে। সকালে ঘুম থেকে উঠেই সন্তানের সঙ্গে সুন্দর করে হেসে বলুন ‘শুভ সকাল’। যখনই দিনটি শুরু হবে শিশুর সঙ্গে ভালো ব্যবহার,কথার মধ্য দিয়ে তখনই তার মন আনন্দে পূর্ণ হয়ে যাবে। ভালোবাসা, আনন্দ এবং ইতিবাচকতার সঙ্গে একটি নতুন দিন শুরু করুন। এমনকি আপনার এই হাসি তাকে অনেকটাই পজিটিভিটি দিতে পারে। এই ছোট অভ্যাসের মাধ্যমে আপনার সঙ্গে সন্তানদের সম্পর্ক সুন্দর হবে এবং শিশু প্রথমেই ঘুম থেকে জেগে উঠে প্রথমেই আপনার কাছে আসতে চাইবে। আগে তার অনুভূতি বুঝুন সেরা

যদি আপনার সন্তান রেগে যায় বা মুড অফ থাকে বা তার মনের কথা বলতে সক্ষম না হয়, তাহলে আপনি প্রথমে তাকে কারণটি জিজ্ঞাসা করুন। কেন তার মন খারাপ বা কেনই সে এতটা রেগে গিয়েছে? প্রথমে তার উত্তর খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। শিশুর অনুভূতি বুঝে তার সঙ্গে কথা বলুন। মূল্যবোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করুন সেরা

প্রত্যেক বাবা-মা তাদের সন্তানদের ভালো মূল্যবোধ দিতে চান। আপনি চান না আপনার সন্তান বিরক্ত হোক বা অন্যদের বিরক্ত করুক। কাজটি কিন্তু খুব একটা সহজ পদ্ধতি নয় বরং বেশ কঠিনই বটে। একটি শিশুর মধ্যে ভালো মূল্যবোধ গড়ে তোলাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাকে বোঝান যে ভাল বা খারাপ হওয়া নিজের পছন্দের। এটি আপনার সন্তানকে আরও ভালো হতে সাহায্য করতে পারে। রেগে গেলে কী করবেন? সেরা

আমরা যখনই বাচ্চাদের দুষ্টুমিতে অতিষ্ট হয়ে তখনই আমরা রেগে যাই। আর রাগ করে এমন কিছু ভুল কথা বলা হয় যা শিশুর মনে আঘাত দিতে পারে। আপনি যখনই রেগে যাবেন, তখন এক ধাপ পিছিয়ে যান। আপনার সন্তানের থেকে দূরে তাকান এবং কয়েকটি গভীর শ্বাস নিন। এইভাবে, আপনি প্রথমে নিজেকে শান্ত করতে পারেন এবং তারপর পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেবেন। তাকে নয় অবহেলা সেরা

অন্যদের প্রতি আপনার আগ্রহ শুধুমাত্র শরীরের ভাষা দ্বারা জানা যায়। যখন শিশুটি তার দিনের সুন্দর কিছু মুহূর্ত আপনার সঙ্গে শেয়ার করবে তখনই যেন আপনি তার দৃষ্টি আকর্ষণ করুন। তাকে পূর্ণ মনোযোগ দিন এবং তাকে কখনই অবহেলা করবেন না। অনেক সময় শিশুরা নতুন কিছু শিখলে, দেখল সেটা সবার সঙ্গে শেয়ার করতে চায়। সে যখন এ বিষয়ে কিছু বলবে পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে তার কথা শুনুন। তা নাহলে সে মনে করবে তার কথা কেউ শুনতে চাচ্ছে না। এভাবে একটা সময় সে নিজেকে সবার কাছ থেকে গুটিয়ে নিবে। মনে রাখবেন, মানুষটি ছোট হলেও অনুভূতিগুলো কিন্তু একই।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন