আর্কাইভ থেকে এশিয়া

মিয়ানমারে ২২ কর্মকতার বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা

সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ক্ষমতা দখলের জেরে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার ওপর আরেক দফা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। এবারে সরকারের ২২ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। এর আওতায় দেশটির স্টেট কাউন্সিলের তিন প্রতিনিধি, সেনাবাহিনীর চার মন্ত্রী, সরকারি কর্মকর্তাদের পরিবারের সদস্যসহ ২২ জনের সম্পদ জব্দ করা হবে। এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা জানায়, শুক্রবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলছে, নিষেধাজ্ঞার ফলে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিতে তাদের সব সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হবে এবং তাদের সঙ্গে কোনো মার্কিন নাগরিক বাণিজ্য করতে পারবে না। ২২ জনের আর্থিক সংস্থা সেনা কর্মকর্তাদের অসৎ তৎপরতায় সহায়তা করেছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেন বলেছেন, আজকের এই পদক্ষেপের মধ্য দিয়ে এটি স্পষ্ট, মিয়ানমারে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে বাড়তি পদক্ষেপ নিতে থাকবে যুক্তরাষ্ট্র। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী এবং সামরিক নেতৃত্ব তাদের অবস্থান বদল না করা পর্যন্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরো বলেন, এই নিষেধাজ্ঞায় মিয়ানমারের সাধারণ নাগরিককে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি। বরং দেশটিকে দ্রুততম সময়ে গণতন্ত্রের পথে ফেরাতে সামরিক বাহিনীর ওপর চাপ সৃষ্টি করার লক্ষ্যেই এই পদক্ষেপ।

শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের রাজস্ব ও বাণিজ্য বিভাগ জানিয়েছে, গেল ফেব্রুয়ারিতে মিয়ানমারের নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখলের শাস্তি হিসেবে জান্তার বিরুদ্ধে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দেশটির ওয়াংবো মাইনিং লিমিটেড, তার দু'টি সহযোগী প্রতিষ্ঠান এবং কিং রয়েল টেকনোলিজসকে কালো তালিকাভুক্ত করেছে মার্কিন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এসব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের সেনাবাহিনীকে অর্থের জোগান দেওয়াসহ নানা ধরনের সহায়তা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। ওয়াংবো মাইনিং লিমিটেডের বিরুদ্ধে শ্রম অধিকারের পাশাপাশি মানবাধিকার লংঘনের অভিযোগ রয়েছে।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন