আর্কাইভ থেকে বাংলাদেশ

কিংবদন্তী এন্ড্রু কিশোরকে হারানোর এক বছর

বাংলা গানের কিংবদন্তী শিল্পী এন্ড্রু কিশোর। যেকোনো ধরনের গান গাওয়ার অদ্ভুত ক্ষমতা ছিল তার। রোমান্টিক, মেলোডিয়াস, বিরহী, ফোক, চটুল—সব ধরনের গানেই ছিল তার অবাধ বিচরণ।  দীর্ঘদিন ক্যানসারের সাথে লড়াই করে গত বছরের ৬ জুলাই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই গুণী শিল্পী। তাকে ছাড়া শুণ্যতার একটি বছর পেলিয়ে গেলো। 

এভাবেই একের পর এক কিংবদন্তির মৃত্যুতে শোকাহত পুরো জাতি। তার কণ্ঠে অসংখ্য কালজয়ী গান কয়েক দশক ধরেই মানুষের মুখে মুখে। আজ মঙ্গলবার (৬ জুলাই) এই বর্ষীয়ান শিল্পীকে হারানোর এক বছর পূর্ণ হলো।

শরীরে নানা ধরনের জটিলতা নিয়ে এন্ড্রু কিশোর অসুস্থ অবস্থায় ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে দেশ ছেড়েছিলেন। বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তার শরীরে নন-হজকিন লিম্ফোমা নামের ব্লাড ক্যানসার ধরা পড়ে।

সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালের চিকিৎসক লিম সুন থাইয়ের অধীনে তার চিকিৎসা শুরু হয়। কয়েক মাস ধরে সেখানে তার চিকিৎসা চলে। দীর্ঘমেয়াদি ও ব্যয়বহুল চিকিৎসায় শিল্পীকে সহায়তা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সিঙ্গাপুরের চিকিৎসা শুরুর কয়েক মাস তার অবস্থা কিছু ভালো হলেও শেষ দিকে এসে আবার অবনতি হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত কোনো উপায় না দেখে করোনার এই সংকট সময়ের মধ্যেই গেল বছরের জুনে মাসের ঢাকায় ফেরেন তিনি। অবস্থান করেন জন্মস্থান রাজশাহীতে। সেখানেই ৬ জুলাই তার মৃত্যু হয়।

জীবনের গল্প আছে বাকি অল্প, হায়রে মানুষ রঙের ফানুস, ডাক দিয়াছেন দয়াল আমারে, আমার বাবার মুখে, আমার সারা দেহ, আমার বুকের মধ্যেখানে, তুমি আমার জীবন, ভেঙ্গেছে পিঞ্জর, ওগো বিদেশিনী তোমার চেরি ফুল দাও, তুমি মোর জীবনের ভাবনা, আকাশেতে লক্ষ তারা চাঁদ কিন্তু একটারে, তোমায় দেখলে মনে হয়, কিছু কিছু মানুষের জীবনে কি যাদু করিলার মতো অসংখ্য বাংলা গান উপহার দিয়েছেন তিনি। গান গেয়ে জীবনে মোট আটবার পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার। 

এস

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন