আর্কাইভ থেকে পর্যটন

খুশিতে ঘুরতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত

"অনেক দিন কোথাও বেড়াতে যাই না। দম বন্ধ হয়ে আসছে," কথাগুলো বলছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাঈদ কানন।

তিনি বলছেন, সেই জানুয়ারি মাসে রাঙামাটি গিয়েছিলেন। কিন্তু এরপর থেকেই ঢাকা শহরের ইঁটের জঙ্গলে বন্দি হয়ে রয়েছেন বলে মনে হচ্ছে।

"আমরা বন্ধুরা মিলে প্রায়ই বেড়াতে যাই। এখন দেখছি ঢাকায় মানুষজন যেভাবে চলাফেরা করছে, তাতে ঢাকায় থাকলেও আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়ে যায়। কিন্তু একটু ব্রেক দরকার। নিজেকে নিরাপদ রাখার যতটুকু সম্ভব চেষ্টা করবো।"

তার ভাষায়, "রিস্ক নিয়েই ঘুরতে যাচ্ছি। ব্যাপারটা এরকম যে অ্যাকসেপ্ট করে নেয়ার মতো। করোনাভাইরাস আমাদের জীবনের একটা অংশ হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে। সেটা মেনে নিতে হবে। কিন্তু জীবনের আনন্দের জন্যেও একটু চেষ্টা করা"

কক্সবাজারের হোটেল
ছবির উৎস,GETTY IMAGES
ছবির ক্যাপশান,
পর্যটকদের টানতে হোটেলগুলো হ্রাসকৃত মূল্যে নানা ধরনের প্যাকেজ দিচ্ছে।

তবুও যে ঝুঁকি রয়ে যায়
ঝুঁকি তবুও রয়ে যায়, বলছিলেন সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউট, আইইডিসিআরের ভাইরলজি বিভাগের প্রধান ডা. তাহমিনা শিরিন।

তিনি বলছেন, বিশ্বের বেশ কিছু দেশে পর্যটনের জন্য সৈকত বা বিনোদন কেন্দ্র খুলে দেয়ার পর সংক্রমণের বৃদ্ধি পেয়েছে। পরে আবার সৈকত বা বিনোদন কেন্দ্র বন্ধও করে দেয়া হয়েছে।

বাংলাদেশে নমুনা পরীক্ষার অনুপাতে শনাক্তের হার এখনো ২০ শতাংশের উপরে এবং শনাক্তের হার লম্বা সময় ধরে একই রকম আছে।

ডা. তাহমিনা শিরিন, "যেমন লোকে বিচে নামলে মাস্ক ভিজে গেলে সেটা খুলে ফেলবে। রেস্টুরেন্টে মাস্ক খুলেই খেতে হবে। অতএব একটা ঝুঁকি রয়েই যায়।"

তিনি বলছেন, "সৈকত যেহেতু খোলা জায়গা তার থেকে ঝুঁকি বেশি রেস্টুরেন্ট বা কেনাকাটার যায়গাগুলোতে। সেক্ষেত্রে এসব যায়গায় কতজন আসতে পারবেন সেটা নিশ্চিত করা দরকার।"

রেস্টুরেন্টে ওয়েটারদের মাস্ক পরতে হবে, খাবার টেবিলগুলোতে টেবিলের দূরত্ব ছয় ফিট রেখে বসানোর কথা বলছিলেন তিনি।

তিনি বলছেন, "স্বাস্থ্যবিধি সঠিকভাবে মানা হচ্ছে কিনা সেটি দেখার জন্য পুলিশ বা কর্তৃপক্ষ যতই থাকুক না কেন মুল দায়িত্ব কিন্তু শেষ পর্যন্ত পর্যটকের নিজের।"

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন