আর্কাইভ থেকে দুর্ঘটনা

নারায়ণগঞ্জের কারখানায় আগ্নিকাণ্ড : ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ শুরু হয়েছে

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সজীব গ্রুপের হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কোম্পানির সেজান জুস কারখানায় আগ্নিকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৫২টি মরদেহ উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আনা হয়েছে। স্বজনরা মৃতদের থেকে আপনজনদের শনাক্ত করতে পারছেন না। তাই মরদেহের নমুনা সংগ্রহের জন্য অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবের টিম কাজ শুরু করেছে।

আজ শুক্রবার (৯ জুলাই) বিকালে সিআইডি নমুনা সংগ্রহের জন্য মরদেহের দাবিদার আত্মীয়-স্বজনদেরও নমুনা সংগ্রহ করছে।

সিআইডি ফরেনসিক ডিএনএ ল্যাবের সহকারী ডিএনএ এনালিস্ট আশরাফুল আলম জানান, পাঁচ সদস্যের টিম নমুনা সংগ্রহের কাজ করছে। মরদেহ শনাক্তের জন্য স্ত্রী, সন্তান, বাবা-মায়ের নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে।

ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা দেবাশিষ বর্ণম আজ শুক্রবার (৯ জুলাই) দুপুরে সাংবাদিকদের জানান, কারখানার চতুর্থ তলা পর্যন্ত তল্লাশি করে আজ ৪৯টি মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ভবনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায় তল্লাশি শুরু করেছেন। পরে জানা যাবে আরও কোনও মরদেহ আছে কি না।

বৃহস্পতিবার ( ৮ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে ভুলতা কর্ণগোপ এলাকায় অবস্থিত সেজান জুস কারখানায় আগুন লাগে। রাতে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তিন শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেন।

আগুনের খবর পেয়ে কাঞ্চন, পূর্বাচল, ডেমরা, আড়াইহাজার, আদমজী ফায়ার সার্ভিসের ১১ ইউনিটের কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ কাজে যোগ দেন। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট কাজ শুরু করে।

শুক্রবার ভোরের দিকে আগুন প্রায় নিয়ন্ত্রণে এসেছিল। কিন্তু সকালে ভেতরে আবার আগুন বেড়ে যায়। সকাল সোয়া ১০টার দিকেও ছয় তলা কারখানা ভবনের পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলার সামনের দিকে আগুন জ্বলতে দেখা যায়।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন