আর্কাইভ থেকে করোনা ভাইরাস

সুরক্ষা বাড়াতে করোনার ৩য় ডোজ শুরু করেছে ধনী দেশগুলো

নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট আর মিউটেশনে দিন দিনই ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। একের পর এক করোনার ঢেউ দেখা দিচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। নাগরিকদের সুরক্ষা নিশ্চিতে এখনো জনসংখ্যার ১০ শতাংশকে ১ম ডোজ নিশ্চিত করতে পারেনি গরিব দেশগুলো। সেখানে ইমিউনিটি বাড়াতে টিকার ৩য় ডোজ প্রয়োগ শুরু করেছে ধনী দেশগুলো।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, বিশ্বে টিকা বৈষম্য তীব্র আকার নিয়েছে। নাগরিকদের সুরক্ষায় ধনী দেশগুলোতে চাহিদার বেশি মজুদ থাকলেও সতর্কতা বা আবেদনেও প্রয়োজনীয় টিকা পাচ্ছে না গরিব দেশগুলো।

বৃহস্পতিবার ফাইজার জানিয়েছে, ৬ থেকে ১২ মাসের মধ্যে কার্যকারিতা কমে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের দেশগুলোতে নিজেদের টিকার ৩য় ডোজ ব্যবহারে অনুমোদন চাইবে তারা।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন বলছে, এখনই নাগরিকদের ৩য় ডোজের প্রয়োজন নেই। তবে, ফাইজার ও মডার্নার সঙ্গে সংস্থাটির সাম্প্রতিক এক চুক্তিতে সম্ভাব্য ৩য় ডোজের জন্য প্রযোজনীয় টিকার চাহিদা জানানো হয়েছে।  

সেপ্টেম্বর থেকেই বুস্টার ডোজ চালুর পরিকল্পনা করেছে ব্রিটেন। দেশটির সরকার বলছে, প্রয়োজন না হলেও পূর্ব সতর্কতার অংশ হিসেবে ফাইজারের সঙ্গে টিকার অতিরিক্ত ৬ কোটি ডোজ সরবরাহের চুক্তি হয়েছে।

গেল মাসে ফাইজারের বুস্টার ডোজ ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও বাহরাইন। ইমিউনিটি বাড়াতে আগস্টেই নাগরিকদের ৩য় ডোজ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স ও ফিনল্যান্ড। ছয় মাস আগে টিকা নেওয়া নাগরিকদের ৩য় ডোজ দিচ্ছে রাশিয়াও।

চীনের সিনোভ্যাক টিকা নেওয়া স্বাস্থ্যকর্মীদের বুস্টার ডোজ দেওয়ার পরিকল্পনা করছে ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ড।

আগামী বছরের মধ্যেই পাঁচ কোটির বেশি জনসংখ্যার সবাইকে টিকার ৩য় ডোজ নিশ্চিতের ঘোষণা দিয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। ২০২২ সালে সব নাগরিককে বুস্টার ডোজ দিতে চার কোটির বেশি টিকার চুক্তি করেছে সুইজারল্যান্ড।

এদিকে, শুক্রবার এক বিবৃতিতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানায়, টিকার ৩য় ডোজে কার্যকারিতা বাড়ার তেমন কোন প্রমাণ নেই তাদের কাছে।

 

এসএন

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন