আর্কাইভ থেকে দেশজুড়ে

ঝালকাঠিতে কোরবানীর পশু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় খামারীরা

ঝালকাঠিতে প্রতিবছর কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে বিপুল পরিমান মূলধন খাটিয়ে পশু  পালন করেন খামারীরা কিছুটা লাভের আশায়। কিন্তু এ বছর করোনা পরিস্থিতিতে চলমান লকডাউনের নিষেধাজ্ঞার কারণে একদিকে বসেনি পশুর হাট অন্যদিকে দেখা নেই ব্যাপারীদের, তাই পশু বিক্রি নিয়ে শঙ্কায় রয়েছেন তারা। তবে অনলাইলে পশু বিক্রির উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলে জানালের জেলা প্রশাসক।

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার উত্তর উত্তমপুর গ্রামের খামারী মো. ফরিদ উদ্দিন গত চার বছর ধরে গ্রাম বাংলা ডেইরী ফার্ম পরিচালনা করছেন। তার খামারের ২৬টি গরুর মধ্যে এবছর কোরবানির উপযোগী করে তুলেছেন ৬টি। এর মধ্যে ১২৮০ কেজি ওজনের কালাপাহাড় ও ৮৮০ কেজি ওজনের কালামানিক নাম দেয়া দুটি গরুর দাম ২৫ লাখ এবং ১৬ লাখ টাকা ছাড়াও বাকিগুলো ৩ লাখ টাকা করে বিক্রির আশা করছেন। চলমান পরিস্থিতিতে স্থানীয় ভাবে হাট না থকায় অনেকটা বিপদে পরেছেন তিনি এখন এগুলো ঢাকা নিয়ে বিক্রির চিন্তা করছেন।

একই উপজেলার পিংড়ী গ্রামের সৈয়দ এনামুল হক জানান, করোনা পরিস্থিতির কারণে চলমান নিষেধাজ্ঞায় কোথাও পশুর হাট না বসায় ও ব্যাপারী না আশায় তারা পশু বিক্রি করা নিয়ে রয়েছেন দু:শ্চিন্তায় ।

ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী জানিয়েছেন, অনলাইনে গরু বিক্রির জন্য জেলার চার উপজেলায় চারটি ওয়েব পেইজ খোলা হয়েছে এবং সেখানে খামারিদের প্রয়োজনীয় তথ্য দেয়ার জন্য বলা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, পশুর হাট নিয়ে ভিন্নরুপ কোন সরকারি সিদ্ধান্ত না আসলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বড় পরিসরে উন্মুক্ত স্থানে পশুর হাট বসানো হতে পারে।

মুনিয়া

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন