আর্কাইভ থেকে এশিয়া

মায়ের প্রেমিকের হাতে মেয়ে খুন

মায়ের পরকীয়ার পথের কাঁটা ছিলো মেয়ে। তাই মায়ের প্রেমিকের হাতে ‘খুন’ হলো দ্বাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের নদিয়ার চাকদহ থানার দুবড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের খামারপাড়া এলাকায়। মৃত ওই ছাত্রীর পরিবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে। নাবালিকার মাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। তবে তার প্রেমিকের আপাতত পলাতক। মৃত স্কুলছাত্রী লিপিকা মণ্ডল, নদিয়ার চাকদহ ব্লকের দুবড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার খামারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। চাকদহ বিষ্ণুপুর হাইস্কুলের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সে। কয়েক বছর আগে লিপিকার বাবা আত্মহত্যা করেছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, তারপর থেকেই লিপিকার মা সুন্দরী বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। স্থানীয় বাসিন্দা সুজিত বিশ্বাসের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয় তার। সে কথা জানার পর থেকেই বিরক্ত থাকত লিপিকা। বারবার মায়ের বিবাহিত সম্পর্কের প্রতিবাদ করে সে। তবে মেয়ের আপত্তি মোটেও ভালো চোখে নেয়নি সুন্দরী। ক্রমশ পরকীয়ার ‘পথের কাঁটা’ হয়ে দাঁড়ায় স্কুলছাত্রী। তাই প্রেমিকের সঙ্গে যোগসাজশ করে নিজের মেয়েকেই খুনের সিদ্ধান্ত নেয় লিপিকার মা। পরিকল্পনা অনুযায়ী বুধবার বেলা বারোটা নাগাদ লিপিকা মায়ের প্রেমিক সুজিত বাড়ির কাছে আসে। সেই সময় লিপিকা তার মায়ের সঙ্গে চাষবাসের কাজ করছিল। অভিযোগ, সুজিত ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিপিকার ডান হাত কেটে দেয়। এরপরে আরও একাধিক জায়গায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে লিপিকাকে আঘাত করে সে। রক্তাক্ত অবস্থায় মাঠেই পড়ে যায় লিপিকা। পরিস্থিতি বেগতিক হতে পারে সেই আশঙ্কায় ঘটনাস্থল ছেড়ে পালায় সুজিত। এলাকাবাসী লিপিকাকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যায়। তবে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলেই জানান।

লিপিকার জেঠিমা কানন মণ্ডল জানান, দীর্ঘদিন থেকে লিপিকার মা সুন্দরী সুজিত মণ্ডলের সঙ্গে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। লিপিকা মাকে বারণ করত। কিন্তু সুন্দরী তা মানেনি। মায়ের সাথে মাঠে গিয়েছিল মেয়েটা। সেই সময় লিপিকার উপর দা হাতে ঝাঁপিয়ে পড়ে সুজিত। মাথায় ও হাতে কোপ মারে। দায়ের কোপে লিপিকার কবজি কেটে যায়। সুজিত পালিয়ে যায়। চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলেও বাঁচানো যায়নি। চাকদহ থানার পুলিশ লিপিকার মা সুন্দরীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে। এই ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত সুজিত বিশ্বাস পলাতক।

এ সম্পর্কিত আরও পড়ুন