নিপাহ ভাইরাস আক্রান্তের চিকিৎসা হবে ডিএনসিসি কোভিড হাসপাতালে
দেশের ২৮টি জেলায় নিপাহ ভাইরাসজনিত জ্বরের প্রকোপ দেখা দিয়েছে। এ ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসা দেয়া হবে রাজধানীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে। এ জন্য হাসপাতালটির মোট ২০টি আসন প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে।
সম্প্রতি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শেখ দাউদ আদনান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে দেশের ২৮ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। এ জন্য মহাখালীর ডিএনসিসি ডেডিকেটেড কোভিড-১৯ হাসপাতালে ১০ বেডের আইসোলেশন ওয়ার্ড এবং ১০ বেডের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র (আইসিইউ) প্রস্তুত রাখতে অনুরোধ করা হলো।
এর আগে, গেলো ৩০ জানুয়ারি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. শেখ দাউদ আদনান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে জ্বরের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা রোগীদের চিকিৎসা সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের জন্য ছয়টি নির্দেশনা দেয়া হয়।
নির্দেশনাগুলো হলো—
রোগী দেখার সময় আবশ্যিকভাবে মাস্ক পরতে হবে। রোগী দেখার আগে ও পরে সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে। জ্বরের উপসর্গ থাকলে রোগীকে আবশ্যই আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখতে হবে। জ্বরে আক্রান্ত রোগীর মধ্যে অজ্ঞান অবস্থা দেখা দিলে তাকে হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখতে হবে। আইসিইউতে থাকাকালে রোগীর পরিচর্যাকারীরা শুধু গ্লাভস ও মাস্ক পরলেই হবে। কারণ, রোগী থেকে বাতাসের মাধ্যমে নিপাহ ভাইরাস ছড়ায় না। যেহেতু আইসিইউতে রেখে এই রোগীর চিকিৎসা করা যায়, এ জন্য রেফার্ড করার প্রয়োজন নেই। যেকোনো প্রকার তথ্যের জন্য স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কল সেন্টারে ১৬২৬৩-৩৩৩ নম্বরে যোগাযোগ করবেন।
প্রসঙ্গত, চলতি বছর নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত আটজনের মধ্যে পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক। গেলো রোববার (২৯ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে তিনি এ তথ্য জানান।